সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার সাবেক ‘শিবির কর্মী’ আবু নছর গুন্নু (৪০) ও খুনের মিশনে থাকা হিসেবে সন্দেহভাজন যুবক শাহ জামান রবিনের (২৮) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপির সহকারী কমিশনার (পশ্চিম) কামরুজ্জামান দু’জনের প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকট মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে দুই আসামির আলাদা ভাবে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত দু’জনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞসাবাদের মাধ্যমে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার সকালে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ থেকে আবু নছরকে এবং শনিবার সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন যুবক শাহ জামান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, আবু নছরের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি একসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। এছাড়া রবিন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া অনুসরণকারী সেই যুবক।
রবিন লাকসামের জনৈক শাহজাহানের পুত্র। পড়াশুনা করেছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। তার গতিবিধি সন্দেহজনক ও সে জঙ্গি মতাদর্শের বিশ্বাসী বলে জানা গেছে। বৃহ¯পতিবার এ মামলার পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিন আবু নছর গুন্নুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবদুল কাদেরের আদালত নছরকে কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে রিমান্ড আবেদনের শুনানি রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন।
গত ৫ জুন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।