স্টাফ রিপোর্টার ::
‘সুশীল সমাজ বাংলাদেশের একটি সক্রিয় খাত। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও এনজিও সমূহের দলনিরেপক্ষতা বজায় রাখা ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পরিহার করা উচিত। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আইটি বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আইটিকে খাতে সাফল্য না আসলে দেশের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি হবে না।’
গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এনজিওদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ” সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব কেএম আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন, সুনামগঞ্জ-এর আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন সহকারি কমিশনার মনিরুল হাসান।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার বাজেট জনসম্মুখে হচ্ছে। এখন থেকে এনজিওগুলোকেও উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করতে এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এনজিও, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল পেশাজীবী মানুষের অংশগ্রহণে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান অতিথি।
কর্মশালায় “ভুয়া এনজিওরা ক্রেডিট কর্মসূচির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে” এমন অভিযোগ এনে জনৈক গণমাধ্যমকর্মীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, এনজিওরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। তারপরও এনজিওদের কার্যক্রমের উপর মনিটরিং জোরদার করতে হবে। যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ভিত্তিতে এনজিওদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। তবে ভালো নামকরা এনজিওগুলো ভালো কাজ করছে। আর যেগুলো নতুন, চেনা-জানা নাই তাদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবেরা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, ব্র্যাক প্রতিনিধি মনিরুল হাসান, সাংবাদিক পংকজ কান্তি দে প্রমুখ।