ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে ‘স্বজনপ্রীতি’র অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গোপন ভোটে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সদস্যদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল রোববার জাউয়া ইউনিয়ন পরিষদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মুরাদ হোসেন নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও সচিব একরামুল হক রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ভোটার হলেন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১২ সদস্য-সদস্যা। প্যানেল চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হক ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুন নুর। বিকেল দু’টায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উভয় প্রার্থী ৬টি করে সমান সংখ্যক ভোট পান।
প্রার্থী আব্দুল হক জানান, চেয়ারম্যানের ভোট ছাড়া তারা সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আব্দুন নুরকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। কোন আলোচানা ছাড়াই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান তার ভোট আব্দুন নুর মেম্বারকে দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছেন। প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতাও হারিয়েছেন বলে আব্দুল হক মনে করেন। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে তিনি পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন জানান, ১৩ জন ভোটারের মধ্যে তার ভোটসহ একজন প্রার্থী পেয়েছে ৭টি ও অন্য প্রার্থী পেয়েছে ৬টি ভোট। সংগত কারণেই বেশি ভোট পাওয়া ব্যক্তিকেই নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে তিনি জানান।