সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
খুচরা সিম বিক্রেতা ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম যাচাইয়ের সঙ্গে যুক্তদের স¤পর্কে তথ্য দিতে মুঠোফোন অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, সিম পুনর্নিবন্ধনের পর রাজধানী থেকে প্রিঅ্যাকটিভেট সিম আটকের পর সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের কাছে (বিটিআরসি) খুচরা বিক্রেতা ও সিম নিবন্ধনে তৃতীয় পক্ষের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা দিতে অপারেটরগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের সহায়তায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ১১ কোটি ৬০ লাখ সিমের যাচাই স¤পন্ন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুসংখ্যক বিবেকবর্জিত লোকের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা নস্যাৎ হতে পারে না। পুলিশ সম্প্রতি অন্য নামে সিম পুনর্নিবন্ধন করা ১৩টি প্রিঅ্যাকটিভেটেড সিম আটক করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় সাতজন খুচরা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।’
তারানা হালিম বলেন, তারা বাজারে প্রিঅ্যাকটিভেটেড সিম অন্য কারও নামে পুনর্নিবন্ধন করলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে সিমপ্রতি ৫০ ডলার করে জরিমানা দিতে হবে। বাজারে কোনো প্রিঅ্যাকটিভেটেড সিম থাকবে না। যদি এ ধরনের কোনো সিম পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে অবশ্যই জরিমানা গুনতে হবে। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অন্য উপায়ে গ্রামের সাধারণ লোকদের সিম ভিন্ন নামে নিবন্ধন করতে পারে। তারানা হালিম সিম হস্তান্তর না করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রিঅ্যাকটিভেটেড সিমের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে পুলিশি অভিযান চালাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের জন্য প্রচারণা চালানো হয়।