সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পাবনার হিমাইতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে (৬২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এদিকে, শুক্রবার রাতে আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক যুগল কিশোর ঘোষ বাদী হয়ে করা মামলায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হাসান বলেন, সেবায়েতের মরদেহ নিয়ে গতকাল (শুক্রবার) আশ্রম কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ছিলেন। রাত ১১টার দিকে আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদ্ঘাটিত হয়নি। তদন্ত চলছে।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোনো গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করতে এমন হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকাজ জোরদার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে নিত্যরঞ্জন পান্ডে প্রাতভ্রমণে বের হয়েছিলেন। আশ্রমের পার্শ্ববর্তী পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত নিত্যরঞ্জনের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের আরুয়া কংসু গ্রামে। তিনি প্রায় ৩৫ বছর ধরে পাবনায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আশ্রমে সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা গোপালগঞ্জে থাকেন।