ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ষষ্ঠ ধাপে গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ধর্মপাশা উপজেলার ১০টি ইউপি’র মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পাঁচটিতে ও বিএনপি মাত্র একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে ‘নয়ছয়’ হওয়ায় দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছেন বলে মনে করছেন এ দুটি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪জুন শনিবার এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পাঁচটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চারটিতে ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাত্র একটি ইউনিয়নে বিজয়ী হন।
উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মো. নুর হোসেন, ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) সেলিম আহম্মেদ, চামরদানি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জাকিরুল আজাদ মান্না ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আমানুর রাজা চৌধুরী।
পাইকুরাটি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফেরদৌসুর রহমান, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে ফরহাদ আহমেদ, মধ্যনগর ইউনিয়নের প্রবীর বিজয় তালুকদার, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আজিম মাহমুদ, জয়শ্রী ইউনিয়নে সঞ্জয় রায় চৌধুরী। এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বিল্লাল হোসাইন বিজয়ী হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আলমগীর কবীর বলেন, নানা বিষয় নিয়ে এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন দুই ভাগে বিভক্ত রয়েছেন। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ না করায় ও আ.লীগের কয়েকজন পদবী ধারী নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরাজয় ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোননয়ন বোর্ড প্রার্থী নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মোতালিব খান বলেন, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সিলেকশন নিয়ে বেশ কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। এ ছাড়াও এই উপজেলায় বিএনপি’র কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে সবকিছু ভুলে গিয়ে উপজেলা বিএনপিতে ঐক্য ফিরে আসে। আর এই খবরটি মাঠপর্যায়ে যথাসময়ে না পৌঁছার কারণেই এ উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটেছে।