1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

কৃষকদেরও ট্যাক্স দিতে হবে: মুহিত

  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কৃষকরা কর অব্যাহতি পেয়ে এলেও তা আর বেশি দিন চলবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দুই বছর পর থেকেই তাদের কাছ থেকে আয়কর আদায়ের পরিকল্পনা তার।
শনিবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন সময় হয়েছে আমাদের চাষী কিষাণরা, তাদেরও এখন ট্যাক্স দিতে হবে। কারণ এখন বেশ বড় কৃষক অনেক হয়ে গেছে।
“এলাকা বেশি হয় নাই, কিন্তু এলাকার প্রোডাক্টিভিটি এতো বেড়েছে যে তাদের ওপর করারোপ করা যায়। যদিও এখন পর্যন্ত তারা কর অব্যাহতি পায়। তবে তাদের আয়ের ওপর করারোপ করতে হবে, পুরো উৎপাদনের ওপর নয়।”
বর্তমানে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে বছরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি আয়ের পর থেকে কর দিতে হয়।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ পরবর্তী পর্যালোচনা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই আলোচনা সভা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে আখ চাষ বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে বলেন মুহিত।
তিনি বলেন, “আমি আখ চাষকে নিরুৎসাহিত করছি। দেশ থেকে ধীরে ধীরে আখ চাষ উঠিয়ে দেওয়া হবে।”
এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, আখ চাষে সময় লাগে প্রায় নয় মাস এবং এ সময় কারখানাগুলো বন্ধ থাকে।
“চিনি কলগুলোর কারণে দেশের কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া অনেক জমিও নষ্ট হচ্ছে।”
চিনি কলগুলোকে ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার।
কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে এবার নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বললেও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বললেন ভিন্ন কথা।
সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কেনার পক্ষে কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “কৃষকরা ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ধানের ময়েশ্চার কমাতে পারেন না বলেই সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারে না। বাধ্য হয়েই মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হয়।”
এবার ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এজন্য দাম ধরা হয়েছে মণ প্রতি ৯২০ টাকা।
গত ৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারিভাবে ধান কেনার ঘোষণা রয়েছে। তবে বোরোর এই ভরা মৌসুমে কৃষকরা সরকারের কাছে নয়, ব্যবসায়ীদের কাছে কম টাকায় ৫০০ থেকে ৭০০টাকায় মণ ধান বিক্রি করছেন বলে বিভিন্ন জেলা থেকে খবর এসেছে। সিরাজগঞ্জে ৪০০টাকায় এক মণ ধান বিক্রির খবর পত্রিকায় এসেছে, যেখানে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে এর চেয়ে বেশি গুণতে হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল গত ৩১ মে এক অনুষ্ঠানে বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের এবার কৃষকের কাছে ভিড়তে দেওয়া হবে না। কৃষকরা যাতে সরাসরি খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মীদের কাছে ধান বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ হয় সেজন্য মাইকিংসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সরকার যেসব ধান কেনে তা প্রায় আট মাস পর্যন্ত গুদামে রাখতে হয়। এজন্য শুকনো ধানের প্রয়োজন হয়। ধানের ময়েশ্চার ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হয়। তা না হলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।”

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com