স্টাফ রিপোর্টার ::
“বিপ্লবী কমরেড লালমোহন রায় সারাটি জীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। লালমোহন রায় ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশমাতৃকাকে পরাধীনমুক্ত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি আমৃত্যু নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং কৃষক-শ্রমিকের পক্ষে কথা বলেছেন। দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ছিলেন কমরেড লালমোহন রায়।”
গতকাল শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পুরাতন ভবনে আয়োজিত কমরেড লালমোহন রায়ের স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির জেলা শাখার সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার।
জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনাম আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, বরুণ রায় স্মৃতি সংসদের সহ-সভাপতি রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, শিক্ষক মনোরঞ্জন দে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বিকাশ চৌধুরী, জেলা উদীচী’র সহ-সভাপতি নির্মল ভট্টাচার্য্য, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশরাফী সম্পা, চন্দন আচার্য্য, জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি রইসুজ্জামান, কমরেড লালমোহন রায়ের মেয়ে শেলী রানী রায় প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, “ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, কমরেড লালমোহন রায়-এর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।”
স্মরণসভার শুরুতে লালমোহন রায়ের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।