1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

হত্যাকাণ্ড তিনজন ছাড়াও ‘ব্যাকআপ গ্রুপ’ ছিল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকান্ডে তিন মোটরসাইকেল আরোহী ছাড়াও একটি ‘ব্যাকআপ গ্রুপ’ অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকান্ডটি ছিল সমন্বিত।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য দুপুরে সিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে ফতেয়াবাদ থেকে সাবেক শিবির নেতা আবু নছরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত রোববার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকান্ডে নছরের স¤পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার আবু নছর হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। দেবদাস ভট্টাচার্য বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হত্যায় তার যে স¤পৃক্ততা আছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।
এ ঘটনায় সমন্বিত একটি টিম কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু তিনজনই হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছে এমন নয়। মাহমুদা খানম মিতু কখন বের হবেন এটা পর্যবেক্ষণ এবং হত্যার পর মোটর সাইকেলে করে যারা পালাবে তাদের ‘ব্যাকআপের’ জন্য আলাদা গ্রুপ ছিল।’
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় আটক ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আবু নছর গুন্নু (৪০) দুই দফায় মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কাজে অংশ নেয়ার তথ্য আছে। তিনি নিজের পরিচয় আড়াল করতেই এই মাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন দেবদাস ভট্টাচার্য।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তরা যখন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করছিল, তখন জিইসি মোড়ের দিকে কিছুটা অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল একটি কালো মাইক্রোবাস। মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে মাইক্রোবাসটি। পাঁচ সেকেন্ডের মতো ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে চলা শুরু করে মাইক্রোবাসটি।
পরে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে চলে যায় ওই মাইক্রোবাস। কালো কাচের এ মাইক্রোর চালকের আসনের পাশের জানালাটা খোলা ছিল। অন্যসব জানালা বন্ধ ছিল। এ কারণেই গোয়েন্দারা মাইক্রোবাসের যাত্রীর সঙ্গে এ খুনের স¤পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার জানান, হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি (চট্ট মেট্রো-ল-১২-৯৮০৭) বাদুরতলা শুলকবহর বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এটি দিনভর সেখানে রাস্তার পাশে পড়ে থাকার পর রাতেও কেউ নিতে না আসায় সেটি জব্দ করা হয়।
পরে চেক করে জানা যায়, সেটিই হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। খুনিরা ওই এলাকায় মোটরসাইকেল রেখে নিরাপদে পালিয়ে যায়। পুরো এলাকাটি জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত। এজন্য এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরের স¤পৃক্ততার বিষয়ে সন্দেহের কথা জানা ইকবাল বাহার।
তিনি বলেন, আমরা আগের হত্যাকান্ডের তদন্তে দেখেছি শিবিরের একটি অংশ পর্যায়ক্রমে জেএমবিতে যোগ দেয়। এ কারণেই হত্যাকান্ডে জেএমবির সঙ্গে শিবিরও জড়িত ছিল কি না সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com