1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রতারণার মামলা পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিতে দুদক আইনে সংশোধন

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার এখতিয়ার দুদকের হাত থেকে পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিতে সংশোধন করা হলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন। বৃহ¯পতিবার সংসদ কাজে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে এ সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার এখতিয়ার পুলিশের হাতে থাকলেও তা দুদকের হাতে দেওয়া হয়। কিন্তু দুদকের জনবলসহ অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে এটি আবারও পুলিশের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কয়েকজন সদস্য বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব দিলে তার দুটি গ্রহণ করা হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, সরকারি স¤পত্তি স¤পর্কিত এবং সরকারি ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতি মামলা ছাড়া অন্যান্য প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার দায়িত্ব পুলিশ পাবে। তবে সরকারি স¤পত্তি এবং সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলার ভার দুদকের হাতেই রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স¤পদ অর্জন, সরকারি স¤পদ আত্মসাৎ ও অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গের মতো বিষয়গুলো দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের তালিকায় ছিল।
২০০৯ সালে মুদ্রা পাচারের অভিযোগও দুদকের তফসিলে যুক্ত হয়। আর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এক সংশোধনীতে দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারার অপরাধ তদন্তের দায়িত্বও দুদকের ওপর বর্তায়।
এই ধারাগুলোর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগ ৪২০ ধারার অন্তর্ভুক্ত। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার ধারা।
সংসদে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ স¤পর্কে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০১৪ এর তফসিলভুক্ত ‘দ্য পেনাল কোড-১৮৬০’ এর কতিপয় ধারা পূর্বের ন্যায় পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হওয়ার বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। সেই ক্ষেত্রে মামলার নি®পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ এর সুফল লাভ করবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর অধীন কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতাভুক্ত হবে। যার ফলে এই জাতীয় মামলাগুলোর তদন্ত অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে স¤পাদন করা যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com