1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

নাইকো মামলায় হাসিনা মুক্ত, আমাকে নিয়ে টানাটানি : খালেদা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নাইকো দুর্নীতি মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, “নাইকো মামলার সঙ্গে হাসিনা স¤পৃক্ত। কারণ হাসিনার সময়ে এর সব চুক্তি হয়েছে। সেই নাইকো মামলায় হাসিনা মুক্ত হয়ে গেছে। আর আমাকে নিয়ে টানাটানি করছে।”
বৃহ¯পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের ‘শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে’ এক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
নাইকো চুক্তিতে তার কোনো স¤পৃক্ততা নেই দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা কিছু করিনি। যা কিছু করেছে হাসিনা করেছে। তাই নাইকো মামলা চলতে গেলে হাসিনাকে অবশ্যই আনতে হবে।”
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর (হাসিনা) নামে ১৫টি মামলা ছিল। আজ সব মামলা থেকে তিনি মুক্ত। কী করে তিনি মুক্ত হয়ে গেলেন। তার কাছে কি জাদুর কাঠি আছে যে ছোঁয়া দিলেন আর সব মামলা থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন?’
বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টসহ অন্য আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনেদেনের অনিয়মের তথ্য তার আছে জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, এসব ক্ষেত্রে মামলা হলে এবং বিচারকরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে তিনি (শেখ হাসিনা) সাজা পাবেন।” এসব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করার আগে তাকে (খালেদা জিয়া) কোনোভাবেই সাজা দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “বিচারকরা নিরপেক্ষ হয়ে এবং প্রয়োজনে বিদেশি বিচারকদের নিয়ে এলে হাসিনার সাজা হবেই হবে। বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট মামলাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি চেক নিয়েছেন। চেক কোথায় দিয়েছেন সব তথ্য আমাদের কাছে রেকর্ড আছে। কাজেই এসব ক্ষেত্রে হাসিনাকে কোর্টে না এনে আমাদের কোনোভাবেই সাজা দেওয়া যাবে না।”
সরকার একদলীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দাবি করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রেখে একদলীয় নির্বাচন করার জন্যই সরকার তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তারা মনে করছে, আমাদের প্রত্যেক নেতার নামে মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে জেলে পুরে নির্বাচন করবে। তারা মনে করে না যে, এটা সোজা নয়। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচন এখনো কেউ গ্রহণ করেনি।”
দেশে আইনের শাসন নেই দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এখন সরকারি দলের জন্য এক রকম আর বিরোধী দলের জন আরেক ধরনের আইন হচ্ছে। বিএনপির নেতাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি লোকরা অন্যায় করলেও তাদের ধরা হয় না, বিচারের আওতায় আনা হয় না।
চট্টগ্রামে পুলিশের স্ত্রী মিতুসহ সাম্প্রতিক সব গুপ্ত হত্যায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা জড়িত বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
সিনিয়র বিচারপতি অ্যাডভোকেট টি এইচ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মাদ নাসির, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ আইন বিষয়ক স¤পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com