1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

গুপ্তহত্যার হিসাব পাই পাই করে নেবো : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় যারাই জড়িত তারা ঠিকই ধরা পড়বে এবং সর্বোচ্চ সাজা পেতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গুপ্তহত্যায় লিপ্ত, তারা যদি মনে করে গুপ্তহত্যা করে পার পেয়ে যাবে; ইনশাল্লাহ তারাও পার পাবে না। তাদের প্রভু যারাই হোক, তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই।
দশম সংসদের একাদশ অধিবেশনে বুধবার সকালে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক স¤পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিতভাবে যারা গুপ্তহত্যা করে দেশের ক্ষতি করছে, মানুষের ক্ষতি করছে, পরিবারের ক্ষতি করছে, তাদের কাছ থেকে আমরা এর হিসাব পাই-পাই করে নেব। যে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের হত্যাকান্ডের ধরনটা একই রকম। তারা ঠিক একই জায়গায় কোপ দেয়। একই জায়গায় গুলি করে। সন্ত্রাসীরা একই কায়দায় এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনেকগুলো ঘটনার আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এখনও যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
হত্যাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে তারা অন্যের পরিবারের ওপর হাত দিচ্ছে তারা কি ভুলে যায় তাদেরও পরিবার আছে। তাদের বাবা-মা আছে, ভাইবোন, স্ত্রী আছে। এক দিকে যদি আঘাত আসে তাহলে তো অন্যদিকেও যেতে পারে। এটা কি তারা ভুলে যাচ্ছে?
হত্যায় জড়িতদের পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন। আজকে যদি তারা এভাবে অন্য পরিবারগুলোর ওপর হাত দিতে শুরু করে তাহলে কিন্তু কারো হাতই থেমে থাকবে না এবং জনগণকে থামিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পুরোহিত, ইমাম, সেই সঙ্গে শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি যেটা এর আগে কখনো আমরা দেখিনি, পুলিশ অফিসার যিনি এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছিল তার স্ত্রীকে কুপিয়ে, গুলি করে কীভাবে হত্যা করা হলো। এসবের বিচার হবে।
গুপ্তহত্যা করে দেশে পরিবর্তন আনা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে দুর্নীতির বিশ্ব চ্যা¤িপয়ন দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ আর জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল। আজ সেখানে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশকে হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের অব্যাহত অপশাসনে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে, তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলে। ওয়ান-ইলেভেনের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন নির্বাচনমুখী না হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তখনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। আমি আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও অসুস্থ পুত্রবধূর পাশে থাকতে ২০০৭ সালের মার্চে আমেরিকা যাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল অপচেষ্টা ও প্রতিবন্ধকতা সাহসের সাথে মোকাবেলা করে ২০০৭ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এলাম। হাজার হাজার মানুষ এয়ারপোর্টে ছুটে এল। এয়ারপোর্ট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন ও সুধাসদন পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ফিরে দেখতে পাই, চারদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যায় আর নির্মম নির্যাতনের ছোঁবল। সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা সকলেই অমানুষিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্রকে বুলেট তলায় পিষ্ট করা হচ্ছে। সারাদেশে আতঙ্কের পরিবেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্বিষহ সময়ে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে বলি। যেই নির্বাচনের কথা বললাম ঠিক তখনই ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে সুধাসদন থেকে গ্রেপ্তার করা হল আমাকে। প্রথমে ৩ কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা দিল। এরপর একটা ছোট্ট ব্রিফকেসে ভরে ওই টাকা দিয়ে গেছে গণভবনে। ৫শ টাকার নোট ৩ কোটি টাকার ওজন হয় ৬৯ কেজি। তিনটা ৩০ ইঞ্চি সাইজের স্যামসোনাই সুটকেস লাগে ৩ কোটি টাকার ৫শ টাকার নোট ভরতে। কিন্তু এমন যাদু তারা জানে যে একটা ব্রিফকেসেই ভরে এনে দিল তিন কোটি টাকা। যা অবাস্তব, কল্পনাপ্রসূত।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com