মাও. কাজী মো. শাহেদ আলী ::
পবিত্র কোরআন শরিফে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন যে, অর্থাৎ রমজান মাস হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআন মানুষের হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ করে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসে রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকে সে অন্যদিনে রোজা পূরণ করবে। ছুরায়ে বাকারা ১৮৫।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ ফরমাইয়াছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত আসে, শয়তান ও অবাধ্য জ্বিন সকলকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয়, এর কোনো দরজাই খোলা হয় না এবং বেহেশতের দরজাসমূহ খোলা হয়, এর কোন দরজাই বন্ধ করা হয় না। এ মাসে এক আহ্বানকারী আহ্বান করতে থাকে- হে ভালোর অন্বেষণকারী অগ্রসর হও, হে মন্দের অন্বেষণকারী থেমে যাও। আল্লাহ তায়ালা এ মাসে বহু ব্যক্তিকে দোজখের আজাব হতে মুক্তি দেন।
অন্য এক হাদিসে রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, যে কোন ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের নিয়তে রমজান শরিফের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সগিরা গোনাহসমূহ মাফ করা হবে।
হযরত আতা (রহ.) হতে বর্ণিত, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রা.), রাসুলে পাক (সা.) আনসারী এক মহিলাকে উদ্দেশ করে বলেছেন- যখন রমজান মাস আগমন করে, তখন তুমি পবিত্র ওমরা পালন করবে। কারণ রমজান মাসে ওমরা পালন করা হজ্বের সমান ছওয়াব (নাসায়ী)।
হযরত সালমান ফারসি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুলে পাক (সা.) শাবান মাসের শেষ তারিখে আমাদের মাঝে ভাষণ দানকালে বললেন, হে মানব মন্ডলি! তোমাদের প্রতি ছায়া বিস্তার করছে একটি মহান মাস, মোবারক মাস, এমন মাস যাতে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা রমজানের রোজা তোমাদের উপর ফরজ এবং রমজানের রাতে নামাজ পড়া নফল করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করবে, সে ঐ ব্যক্তির সমান হল, যে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। ছোবাহানাল্লাহ! সে ঐ ব্যক্তির সমান হল যে, অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করলো। রমজান সবরের মাস, আর ধৈর্য্যরে ছোওয়াব হল বেহেস্ত। যে কেউ এ মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে তার জন্য তার গোনাহর কাফফারা হবে। দোজখের আগুন হতে মুক্তির কারণ হবে। তাছাড়া তার ছোওয়াব হবে সেই রোজাদার ব্যক্তির সমান।