সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি বাড়াতে এবার দু’ভাগ করা হচ্ছে। বিভাগ দুটি হচ্ছে- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়টি ভাগের অনুশাসন দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এ মন্ত্রণালয়গুলোকে ভাগ করে দুটি বিভাগ করা হচ্ছে। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন একজন সচিব। এ জন্য সৃষ্টি করা হবে সচিবের নতুন পদ।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবকিছু থাকবে। আর স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগে পরিবার কল্যাণসহ অন্যান্য বিষয়গুলো থাকবে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে দুটি বিভাগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৪৫টি মন্ত্রণালয়ে ৭৫ জন সচিব রয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি মন্ত্রণালয়ের একাধিক বিভাগ রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন আলাদা আলাদা সচিব। এ ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কাঠামোও আলাদা। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একজন সচিব পদ বেড়েছে। ফলে মোট সচিব সংখ্যা এখন ৭৬ জন। ১৯৭২ সালে শিক্ষা, ধর্ম, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিবিষয়ক যে মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছিল, ১৯৯৩ সালের আগস্ট মাসে সেখান থেকে স্বতন্ত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা পায়।
মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সরকারের যাত্রা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাত্রা হয়। যুদ্ধকালে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি এত ব্যাপক ছিল না। ১৬ ডিসেম্বরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ঢাকায় সচিবালয় স্থানান্তর করা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মধ্য দিয়েই মূলত এ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর আগেই দুটি ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, অন্যটি হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। দুই বিভাগের দুজন সচিব রয়েছেন। ১৯৮৬ সালে সরকারি আদেশ অনুসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।