ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৮লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ডিএসআর। তার নাম সুমন দাস (২৭)। সে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বালিউড়া গ্রামের মৃত সখীচরণ দাসের পুত্র।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাগর দাস বাদী হয়ে সুমন দাস ও তার ভাই সৌরভ দাসের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শহরের কালীবাড়ি রোডস্থ এসএম চৌধুরী ডিসস্ট্রিবিউশন হাউজ ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে প্রায় দু’বছর ধরে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ডিএসআর’র দায়িত্ব পালন করে আসছে সুমন দাস। ইতিমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যাপক প্রসারতা লাভ করার সুবাদে প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ টাকা লেনদেন হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান চৌধুরী খোকনের সরলতার সুযোগে ডিএসআর সুমন দাস ও তার ভাই সৌরভ দাস প্রতিষ্ঠানের মোটা অংকের টাকা আত্মসাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার দোয়ারাবাজার থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৮লক্ষ টাকা নিয়ে এসএম চৌধুরী ভবনস্থ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আসে সুমন দাস। বরাবরের মতো সংগ্রহ করা ৮লক্ষ টাকা নিয়ে ডাচবাংলা ব্যাংক ছাতক শাখায় জমা দেয়ার নামে প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে বের হয় সে। এসময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ তার ভাই সৌরভ দাসকে সাথে নিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে উধাও হয়ে যায় সুমন দাস। টাকা জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাগর দাস ডাচবাংলা ব্যাংকে যোগাযোগ করলে টাকা জমা না হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। তাৎক্ষণিক সুমন দাসের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সুমন দাসের কোন সন্ধান পায়নি। এ প্রতিষ্ঠানের ৮লক্ষ টাকা আত্মসাতের সাথে সুমন দাস ও তার ভাই সৌরভ দাসসহ তাদের ঘনিষ্ঠ একটি চক্র জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুমন দাসের সাথে ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত কোন টাকা লেনদেন না করার জন্য গ্রাহক, এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সাইফুর রহমান চৌধুরী খোকন। তিনি সুমন দাসকে ধরিয়ে দেয়ার জন্যও তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।