সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে উন্নত বাস চালু ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রথমে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন সুনামগঞ্জের যুবসমাজ। তাঁরা প্রথমে শহরের রিভারভিউয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন দাবিসহ জোরালো আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী দিন কয়েক পরে শহরের আলফাত স্কয়ারে (ট্রাফিক পয়েন্টে) সুনামগঞ্জের যুবসমাজের ব্যানারে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এক পর্যায়ে যুবসমাজের আন্দোলন কর্মসূচির সাথে একমত পোষণ করে ও জনদাবিকে সমর্থন জানিয়ে রাজপথে নামলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ। তাঁরা গত ৫জুন শহরের আলফাত স্কয়ারে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিবৃন্দ’র ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
জনদাবির প্রতি জনপ্রতিনিধিদের রাজপথে নেমে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।
আশার কথা হলো, এতো আন্দোলন কর্মসূচির পর নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত ৫জুন সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিরতিহীন সার্ভিসের মান উন্নতিকরণ ও সেবার মান যাত্রী কল্যাণে পরিচালনা করতে মালিক-শ্রমিকগণ ঐক্যমত পোষণ করেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বিরতিহীন গাড়ি ৩১টিকেট পূর্ণ হওয়া মাত্র গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গেইট লক করে বাস টার্মিনাল ত্যাগ করতে হবে। রাস্তায় বাস থামিয়ে কোনো যাত্রী উঠালে চালককে ১হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। টিকেটের উল্টোদিকে যাত্রীদের অভিযোগের জন্য মোবাইল ফোন নাম্বার সংযুক্ত থাকবে। এখন থেকে আকারে ছোট সংকীর্ণ সিটযুক্ত গাড়িকে বিরতিহীন ট্রিপ প্রদান করা হবে না। এছাড়া ভবিষ্যতে যাত্রীদের সুপারিশের আলোকে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দীর্ঘদিনের যাত্রী দুর্ভোগের অবসানকল্পে জনপ্রতিনিধিদের আন্দোলন কর্মসূচি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাদের এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগের ফলে গণপরিবহনের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। ভবিষ্যতে গণপরিবহনে যাত্রীসেবার মান আরো বৃদ্ধি এবং সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে উন্নত বাস নামানো হবে এটাই সময়ের দাবি এবং সকলের প্রত্যাশা।