1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রসঙ্গ : মিতু হত্যা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

গত ৬ জুন, সোমবার, ২০১৬। এই দিনটি বাংলাদেশকে জানান দিয়ে গেলো যে, প্রকৃতপ্রস্তাবে অর্থাৎ সত্যিকার অর্থেই ‘আতঙ্ক’ একটি মারাত্মক অস্ত্র, যা থাকে সন্ত্রাসী জঙ্গি শক্তির হাতে এবং বিশ্বে এখনও পর্যন্ত সফলভাবে ব্যবহৃত, বাংলাদেশে আরও বেশি সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে একাত্তরে পরাজিত শত্রুর তরফ থেকে। উপলব্ধি করতে পারছি, এই বিশেষ বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত মুষ্টিমেয় ব্যক্তির স্বার্থোদ্ধারের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত তাদেরকে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিয়া-নাগাসাকিতে যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করা হয়েছিল এটম বোমা ফেলে, তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, আর সে উদ্দেশ্যটা ছিল বিশ্বের অন্যসব রাষ্ট্রশক্তিকে আতঙ্কের প্রবল চাপে অবশ করে দেওয়া। যাতে কোনও রাষ্ট্র আমেরিকার বিরুদ্ধে মাথা তোলে দাঁড়াতে না পারে। অর্থাৎ ভয়ের বিভীষিকায় গ্রস্ত করে রাখা সমগ্র মানবজাতিকে। সেদিন বিজ্ঞানের অবদানকে তারা মানবমঙ্গলে ব্যবহার না করে এর দ্বারা মানবসভ্যতা ধ্বংসের সম্ভাবনাকে মানবসভ্যতার নাকের ডগায় চিরদিনের মতো ঝুলিয়ে দেয়। আর মানবজাতিকে প্রকারান্তরে তারা জানিয়ে দেয় সেই সত্য- মানুষ প্রকৃতপ্রস্তাবে পশুরই উন্নতর একটি প্রজাতি, প্রয়োজনে জঘন্যতম হীন স্বার্থবুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত হতে পারে এবং আমেরিকা তাই। সমগ্র মানবপ্রজাতির বিভ্রান্ত অংশ। বাংলাদেশে তাঁদেরই উত্তরসূরি বর্তমানে বিপুল বিক্রমে পরাক্রম প্রদর্শনে ব্যস্ত আছে।
মাহমুদা আকতার মিতু, একজন গৃহবধূ। একটি রাজনীতিক প্রতিপক্ষের শিকার হবার কথা নয় তাঁর। জঙ্গিবিরোধী একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রী হওয়ার কারণে এভাবে তাঁকে হত্যা করার কোনও যৌক্তিকতা নেই, তবে কাপুরুষতা আছে পুরোপুরি। কিন্তু এইসব হীন স্বার্থবুদ্ধির সংঘবদ্ধ মানুষেরা তাঁকে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘুঁটি করে নিয়ে হত্যা করেছেন। এই প্রজাতির মানুষেরাই একসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে গিয়ে তাঁর পরিবারের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে হত্যা তো করেছেই এমনকি মাসুম বাচ্চা রাসেলকেও হত্যা করেছে। রাসেল রাজনীতি বুঝতো না। যারা রাসেলকে হত্যা করেছে তারা রাজনীতি ঠিকই বুঝতো কিন্তু মানবতা বুঝতো না। গত শতাব্দীর একাত্তরে পাকিস্তানের পূর্বাংশে (বর্তমানে বাংলাদেশ) পাকিস্তান সামরিকজান্তা কর্তৃক চালানো হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করার কোনও দার্শনিক, রাজনীতিক কিংবা ধর্মতাত্ত্বিক কারণ থাকতে পারে না, তবু এক শ্রেণির হীনস্বার্থবাদী মানুষ কারণ তৈরি করেছে, দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধাবস্থার মধ্যে হত্যা-ধর্ষণ-লুট ইত্যাদি কর্মকান্ডকে জায়েজ করে তবে ছেড়েছে এবং সময়মতো গা ঢাকা দিয়েছে আবার সুবিধামতো সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে, এখন অন্তরাল থেকে হত্যালীলা সংঘটিত করে চলেছে। আমরা একজন মা-হারানো কর্নেল বা একজন স্ত্রী হারানো পুলিশ সুপার কিংবা মা-হারানো শিশু মাহির ও তার ভাইয়ের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি, যদিও জানি এতে তাঁদের শোক এক তিল প্রশমিত হবে না, তাদের ক্ষতি চিরদিনের জন্য ক্ষতিই থেকে যাবে। তাঁদের বলতে চাই, এই শোক তাঁদের একার নয়, সমগ্র জাতির। কামনা করি জাতির এই শোক শক্তিতে পরিণত হবে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা আইজিপি একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, কিন্তু বাবুল আকতারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, কিন্তু পুলিশ সদর দপ্তর তা কার্যকর করেননি, যা জঙ্গিদের জন্য মওকা তৈরি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন কর্তব্যচ্যুতি জাতি প্রত্যাশা করে না। দীর্ঘসূত্রতা কিংবা গাফিলতি যাই বলি না কেন, ক্ষতি হয়ে গেলে সে ক্ষতি পূরণের আর কোনও সুযোগ থাকে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com