মো. আমিনুল ইসলাম ::
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ও শেষদফা ভোটকার্যক্রম শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের ২৭টি ইউনিয়নে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করেন। বিকেলে শুরু হয় ভোট গণনা ও রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান প্রার্থী) নির্বাচন সম্পন্ন হলেও একটি ইউনিয়নে ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় ওই ইউনিয়নে কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ফতেপুরে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রনজিত চৌধুরী রাজন। ধনপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তালুকদার। পলাশ ইউনিয়নে আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাইয়ূম মাস্টার ও সলুকাবাদ ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী রওশন আলী। এ উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ আলী ও আ.লীগের প্রার্থী আব্দুল গণি প্রত্যেকে ৪ হাজার ৩০টি করে ভোট পাওয়ায় তাদের কাউকেই বিজয়ী ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে বিজয় নিশ্চিত করেছেন বিএনপি প্রার্থী বুরহান উদ্দিন। বালিজুরি ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জহুর মিয়া। বাদাঘাট ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফতাব উদ্দিন। বড়দল উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী আবুল কাশেম, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী আজহার আলী, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রার্থী খসরুল আলম ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বিশ্বজিৎ সরকার জয়লাভ করেছেন।
তাছাড়া, জামালগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বেহেলী ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী অসিত চন্দ্র তালুকদার। ভীমখালি ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী দুলাল মিয়া জয় পেয়েছেন। ফেনারবাক ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী করুণাসিন্ধু তালুকদার ও সাচনা বাজার ইউপিতে জয় পেয়েছেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম শামীম।
জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার স্থগিত হওয়া রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাাচনে ভোটের লড়াই ছিল গতকাল শনিবার। আর এ ইউনিয়নে জয় লাভ করেছেন আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম রানা।
এদিকে, ধর্মপাশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ধর্মপাশা সদর ইউপিতে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ। পাইকরহাটি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগের প্রার্থী ফেরদৌসুর রহমান। সেলবরষ ইউপিতে জয় পেয়েছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূর হোসেন। জয়শ্রী ইউনিয়নে বিজয় নিশ্চিত করেছেন আ.লীগের প্রার্থী সঞ্জয় রায় চৌধুরী। মধ্যনগর ইউপিতে আ.লীগের প্রার্থী প্রবীর বিজয় তালুকদার, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউপিতে আ.লীগের প্রার্থী ফরহাদ আহমদ, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রাজা চৌধুরী, চামরদানি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকিরুল আজাদ মান্না. বংশিকুন্ডা উত্তর ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী বিল্লাল হোসেন ও বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মাহমুদ জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচন কার্যক্রম সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়। তবে রাতে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি ইউনিয়নে সংঘর্ষ ও ধর্মপাশায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।