রাজন ::
তাহিরপুরে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলায় পৃথক পৃথক ৩টি সংঘর্ষের ঘটনায় ৭০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর ১৫জনকে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বালিয়াঘাট গ্রামের আলী বাদশা (৩৫), সেবলু মিয়া (৩০), মাফিক মিয়া (৩৩), জিয়া (২৮), কালন মিয়া (৬০), সজিম খা (৩৫), কাজল খান (২৩), সিজিল (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল ৩টায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজারে বিএনপি’র বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী খসরুল আলমের পক্ষের গোলকপুর গ্রামের সামসুল হুদা আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী আবুল হোসেন খানের ছেলে কাজল খানের উপর রঙ নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বালিয়াঘাট গ্রামের ইসমাইল, উমর আলী, শাহজামাল, আছাদ্দর আলী, সামছু মিয়া, কদ্দুছ মিয়ার নেতৃত্বে বালিয়াঘাট বাজারের আওয়ামী সমর্থকদের অফিস ও দোকানপাটে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক এমএ রাজ্জাক ছবি তুলতে থাকলে এ সময় তাঁর ব্যবহৃত ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া বালিয়াঘাট নতুন বাজারের হেপী ফার্মেসী, আল্লাহরদান স্টোর, মামুন স্টোরসহ ১০-১৫টি দোকানে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়।
সংবাদ পেয়ে ইউপি নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস স্থানীয় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপরদিকে, বালিজুরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী আতাউর রহমান ও তার ভাতিজা বিএনপি’র বিদ্রোহী পরাজিত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন-এর সমর্থকদের মধ্যে রোববার দুপুরে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেন-এর অফিস ঘর, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এছাড়া ৪টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- সাফায়াত হোসেন (৩৫), জায়েদ মিয়া (৩০), মছদ্দর আলী (৬৫), শাহ জাহান (৪০), পারভেজ (৩০)। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অন্যদিকে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজারে রোববার দুপুর ২টায় বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী সিরাজুল হক ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাবুল মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষটি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- আতিক (২২), ফজলু (৩৮), কাজল (২৭), মকবুল (৪০), মহিবুর(৩৫), মেহের (৪৫)।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ এ সব সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।