স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্মরণকালের বৃহত্তম উৎসবমুখর সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশালতার জানান দিলো জেলা আওয়ামী লীগ। কমিটি গঠনের পর ঘরোয়াভাবে অভিনন্দন, শুভেচ্ছায় সিক্ত হওয়াসহ দলীয় কর্মসূচি ঘরোয়াভাবে পালন করেছে দলটি। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে ২০১৬-২০১৭ সনের বাজেট প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জেলা শহরে বিশাল আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আনন্দ মিছিলে বিপুল সংখ্যক নারীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের দলীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা-ইউনিয়ন কমিটির নেতাকর্মীসহ তৃণমূলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। তীব্র রোদের মধ্যেও মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের সর্বকালের সফল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অভিনন্দন জানায়। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, বাজেট প্রস্তাবের অভিনন্দন মিছিল মূলত জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির দলীয় কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শোডাউন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মিছিলে অংশ নেন।
রোববার সকাল থেকেই সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য যাদুঘরের (পুরাতন কোর্টে) বটবৃক্ষের নিচে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ। প্রখর রোদের মধ্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। মিছিল বের হওয়ার আগে এসে যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান।
দুপুর ১২টায় পুরাতন কোর্ট ভবন থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে পুরাতন কোর্টে এসে শেষ হয়।
মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন আ.লীগ নেতা অ্যাড. নান্টু রায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী, অ্যাড. শফিকুল আলম, আমির হোসেন রেজা, মোবারক হোসেন, শ্রমিক লীগ সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগ নেতা হায়দার চৌধুরী লিটন, করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, প্রদীপ পাল নিতাই, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জিয়াউল হক, রেজাউল আলম নিক্কু, জুনেদ আহমেদ, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল হক, ইশতিয়াক শামীম, অ্যাড. জাফরান কুসুম, অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, আতিকুল ইসলাম আতিক, অমল কান্তি চৌধুরী হাবুল, গৌতম বণিক, নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, হাসান মাহমুদ সাদী, আবুল আজাদ রোমান, অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, গৌতম বণিক, জমিরুল হক পৌরব, মহিবুর রহমান মুহিব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ, সুব্রত সরকার, সহ-সভাপতি মিন্টু চৌধুরী, ফারুক আহমদ সুজন, সমাজসেবা সম্পাদক হাবিব আল হাসান তপু, নাজমুল হক, শিমুল, দেওয়ান জিসান রেজা, পিয়াল, স্বজন, শাহিন, ফরহাদ প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, দায়িত্ব পাবার পর নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে আমরা বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারিনি। তৃণমূলের সকল নেতাকর্মী ছিলেন নির্বাচনমুখী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিরায়ত আবেগ-ঐতিহ্যকে সম্মান করে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের সফলতার আশায় আমরা তাঁদের ডাকতে পারিনি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দেশের উন্নয়ন-সম্ভাবনার বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিলের খবর পেয়ে তারা ¯্রােতের মতো চলে আসেন। তীব্র গরম উপেক্ষা করে জনতার এই ¯্রােত প্রমাণ করে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ভবিষ্যতে জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে নানা সৃজনমুখী উদ্যোগ দেখা যাবে বলে তিনি জানান।