সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে কোনো মোবাইল সিম নেই; অনিবন্ধিত কোনো সিম তার হাতে থেকে থাকলেও তা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন বিষয়ে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়া মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাননি ‘জেনে’ কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে একে ‘দায়িত্বহীনতা’ আখ্যায়িত করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক হাছান মাহমুদ।
এর সূত্র ধরে রোববার সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, খালেদা জিয়ার মোবাইল সিম বন্ধ করা হয়েছে কীনা এবং তার নামে কতটি সিম রয়েছে।
জবাবে তারানা হালিম বলেন, “আমার জানা মতে কোনো সিম উনার নামে নেই। সেক্ষেত্রে হয়ত উনি অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যোগাযোগ করেন। উনি এখনও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেননি। উনার নামে না করলে সেটি ইতোমধ্যে ডিঅ্যাকটিভেটেড হয়ে গেছে।”
প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, “ব্যক্তিগত ইনফরমেশন দিতে চাই না, সে জন্য একটু আগেভাগে বলে রাখি, যেহেতু উনার নিজস্ব নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা নেই, নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য।”
গত ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরুর পর সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি নিজেও গ্রামীণ ফোনের একটি কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের সিম নিবন্ধন করান তারানা হালিম।
রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে থাকা সবাই একই কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তিন বাহিনীর প্রধান করেছেন, সকল মন্ত্রী করেছেন, প্রতিমন্ত্রী করেছেন, মাননীয় ¯িপকার করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা (সজীব ওয়াজেদ জয়) করেছেন, সকল সচিব করেছেন, সেনা বাহিনীর সদস্যরা করেছেন…।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনে সবার জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য। কোন মন্ত্রীর সিম যদি অনিবন্ধিত থেকে থাকে, তাহলে সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
খালেদা জিয়া সিম নিবন্ধন না করায় হতাশা প্রকাশ করে তারানা হালিম বলেন, “এখানে আমরা একটু কষ্ট পেয়েছি, একটু হতাশ হয়েছি যে যেহেতু তিনি করেননি, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তিনি করলে আমরা খুশি হতাম।
“আমরা আশা করেছিলাম, একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে একজন সচেতন নাগরিকের ভূমিকা পালন করবেন।”
তবে খালেদা জিয়া চাইলে এখনও নিয়ম মেনে সিম নিবন্ধন করিয়ে নিতে পারেন জানিয়ে তারান হালিম বলেন, “তাকে সিমটি কিনে নিতে হবে। যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে নিতে হবে। অপারেটররা যে সুযোগ দিয়েছিলেন, এক থেকে ৪ জুন, সেই সময়ে করলে বিনা পয়সায় করতে পারতেন। সেই সুযোগটিও তিনি গ্রহণ করেননি। এখন তিনি সিম কিনে নিতে পারেন। নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। উনি করে নেবেন আশা করি।”
গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১ কোটি ২১ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। আর বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার পর অপারেটরদের দেওয়া সুযোগে ৪ জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে আরও ৩৮ লাখ সিম। এ হিসাবে মোট ১১ কোটি ৬০ লাখের মত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।