স্টাফ রিপোর্টার ::
‘হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ এলাকায় শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে স্বাস্থ্য বিভাগকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যায় জনগণকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি নবজাতকের পরিচর্যায় মাদেরকে প্রশিক্ষিত করে যতœবান হওয়া আবশ্যক। এসব ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে।’
উপর্যুক্ত কথা বলেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি গতকাল বুধবার সকালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, হাওর অধ্যুষিত এলাকায় জনসংখ্যা একটা বিরাট সমস্যা। কাজেই জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যায় রাখতে হবে। তা না হলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা দুঃসহ হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সুনামগঞ্জের আয়োজনে এবং পরিবার পরিকল্পনা ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল হাকিম। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় বিষয়ে আলোচনা করেন ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ঢাকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মাহবুব-উল-আলম।
ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মুক্তআলোচনা করেন সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. মোজাফ্ফর হোসেন, ডা. একেএম মফিজুল ইসলাম, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গৌতম রায়, ডা. কামরুল আলম, মো. কামরুজ্জামান, মো. নুর ইসলাম, ডা. আব্দুল্লাহ আল ওমর ফারুক, মেরী স্টোপ ম্যানেজার মৃণাল কান্তি কর, কেয়ার-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার শঙ্খুলাল মজুমদার, সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এফ এম রফিকুল ইসলাম, একরামুল হক, শান্তিময় ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।