মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুরে নবম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে ইমামের সহায়তায় ইমামের বাসকক্ষে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। ধর্ষণে সহযোগিতাসহ ধর্ষণ চলাকালে বসতঘরের দরোজা বন্ধ করে পাহারা দেন ইমাম। ওই সময় ধর্ষক গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর মেয়র বাড়ি পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের জনৈক আয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কম্পাউন্ড এলাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। ওই আয়ার নবম শ্রেণি পড়–য়া কন্যার সঙ্গে হবিবপুর গ্রামের আফজল মিয়ার প্রেম ছিল। সম্পর্কের সুবাদে গত ২ মে আফজল তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ‘মেয়র বাড়ি পাঞ্জেগানা মসজিদে’র ইমামের বসতঘরে নিয়ে যায়। আফজালের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর কথা বলে ইমাম আমিনুর রহমান তার বসতঘর আফজাল ও ওই ছাত্রীকে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে প্রহরা দিচ্ছিলেন। গত সোমবার ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা নিয়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ না হয় সেজন্য নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেয় ধর্ষক ও সহযোগী ইমাম। তারা এক পর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় গত ৩০ মে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ধর্ষক আফজল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী ইমাম আমিনুর রহমানকে গত সোমবার রাতে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইমাম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্বস্তিপুর গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ইমামকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) খান মো. মাঈনুল জাকির জানান, গ্রেফতারকৃত ইমাম ও ধর্ষিতা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে মেয়েটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।