স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের রতনশ্রী ও অক্ষয়নগর গ্রামের মৌজা সদর উপজেলা থেকে স্থানান্তর করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। আন্দোলনে ফেটে পড়া মানুষজন জানিয়েছেন সদর উপজেলার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের ইতিহাস-ঐতিহ্য বাদ দিয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় যাব না। এ ঘটনায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ক্ষুব্ধ জনতা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, পাকিস্তানি আমল থেকেই এই দুই মৌজার বাসিন্দারা সদর উপজেলার আওতাধীন থেকে প্রশাসনিক সকল কর্মকান্ড সম্পাদন করে আসছেন। সদর উপজেলার সঙ্গে এ কারণে তাদের ঐতিহাসিক ও নাড়ীর সম্পর্ক বিদ্যমান। এখন হঠাৎ করে মৌজা পরিবর্তনের ঘটনায় তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। গতকাল সোমবার সকালে দুই গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলকারীরা শহরে এসেও প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য এর আগেও সাবেক জেলা প্রশাসক ইয়ামিন চৌধুরীর সময়েও এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। ওই সময়ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রাম থেকে ইউনিয়নবাসী সংগঠিত হয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সুরমা ব্রিজ হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফুল মিয়া, সমাজসেবী হোসেন আলী, সমাজসেবী মো. নুরুল আমিন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সারোয়ার আহমদ আইয়ুব, ইউপি মেম্বার মো.মমিন, মো.হাবিবুর রহমান, মো.আব্দুল হামিদ, সাবেক মেম্বার মো. হারুন-অর-রশিদ, মো.মুজিবুর রহমান, সাবেক মেম্বার আক্তারুজ্জামান, দিলু মোড়ল, হাজী আকুল আলী, মো. দৌলত মিয়া প্রমুখ।
এলাকাবাসী জানান, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ সার্বিক দিক দিয়ে সহজে জমিজমার রেকর্ডপত্র, খাজনা, নামজারি, ক্রয়-বিক্রয়সহ প্রশাসনিক কাজগুলো সদরের সঙ্গে সম্পন্ন করছেন এলাকাবাসী। উপজেলা সদরের পাশে অবস্থানের ফলে সহজে জেলা সদরে এসে জরুরি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবেই কাজ করে আসছেন। এখন মৌজা পরিবর্তন করে বিশ্বম্ভরপুরে স্থানান্তর করলে তাদের নানা সমস্যা হবে বলে তারা জানান।
স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম ইউনিয়নবাসীকে আশ্বস্থ করে বলেন, মৌজা দুটি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাথে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারধীন। তবে জনদাবির বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে অবগত করব।