স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরবেষ্টিত ভাটি অঞ্চল খ্যাত তাহিরপুর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়ন। এই বাদাঘাট ইউপি নির্বাচনে এবার প্রার্থী হয়েছেন দুই পরিবারের চাচাতো চার ভাই। এদের মধ্যে চমক দেখাতে পারেন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী বাদাঘাট ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে তরুণ নেতা আফতাব উদ্দিন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। ইতোমধ্যে আফতাব উদ্দিনের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর সমর্থক ও কর্মীরা।
জানা যায়, ভোটারদের কাছে টানতে ও সাধারণ মানুষের দোয়া চাইতে দিন-রাত নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন। বিনয়ী আফতাব উদ্দিনকে কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষও আবেগ আপ্লুত হচ্ছেন।
বাদাঘাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের প্রবীণ নারী ভোটার খোদেজা বানু বলেন, “অহন পরযন্ত কতো চিয়ারমেনরে ভোট দিছি। সবতেরে দেহছি। এইবার আফতাব উদ্দিনরে ভোট দিমু, হুনছি ফোলাডা কুবই ভালা আর সাঅসী”। (এ পর্যন্ত অনেক চেয়ারম্যানকেই ভোট দিয়েছি এবার আফতাব উদ্দিনকে ভোট দিব, শুনেছি ছেলেটি খুবই ভালো এবং সাহসী)।
৪নং ওয়ার্ডের ভোটার যাদুকাটা নদীর বালি-পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক আক্তার হোসেন বলেন, “গাঙ্গ কাম করতে গেলে অনেকরে টেহা না দিলে ফিডাও কাওন লাগে, এইবার ভালা মাইনষেরে ভোট দিমু।”
৫নং ওয়ার্ডের তরুণ ভোটার মাহ্মুদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ ইউনিয়নে নতুন কোন প্রার্থী নেই। আমি এবারই প্রথম ভোট দিবো। আমরা চাই এ ইউনিয়নে তরুণ প্রজন্মের কেউ চেয়ারম্যান হোক। আফতাব উদ্দিনকে এক্ষেত্রে যোগ্য বলে আমি মনে করি।”
চেয়ারম্যান প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সুনামগঞ্জ শহরের রাজগোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। পরে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সিলেট মদনমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়া করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে যোগদেন। পর্যায়ক্রমে তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। ১/১১-এর সময়ও রাজপথে থেকে আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন। এছাড়াও তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ফাজিলপুর বালি-পাথর মহালে অতিরিক্ত রয়্যালিটি আদায় বন্ধ করাসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
চেয়ারম্যানপ্রার্থী আফতাব উদ্দিন বলেন, জনসেবাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এলাকার সব মানুষকে সাথে নিয়ে বাদাঘাট ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে যাদুকাটা নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ করবো। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যবস্থা করবো। আমি সাহেব নয়, ইউনিয়নবাসীর সেবক হয়ে কাজ করবো। সাধারণ মানুষের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এর বাস্তবায়নে কাজ করে যাব। তিনি বাদাঘাট ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।