সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকের সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে চিকিৎসকদের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়নি। রোগীদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত চিকিৎসকের জরিমানা করা যেতে পারে। তার লাইসেন্স বাতিল করতে পারে বিএমডিসি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জিএমই গ্রুপের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সামাজিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে ৫ হাজার মেমোগ্রাফি ফিল্ম ও ১০ হৃদরোগীর স্ট্যান্ট তুলে দেয়া হয়। এই স্ট্যান্ট ও ফিল্ম গরীব রোগীদের সেবায় ব্যবহৃত হবে।
জিএমই গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, হাসপাতাল শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম সাদি, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনেম, পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে কিছু কসাই আছে, তারা ক্লিনিক খুলে মানুষকে নাজেহাল করে। তাই আইন করছি। এই আইন ডাক্তারদের শাস্তিদের জন্য নয়। তাদের সুরক্ষার জন্য আইন হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোন ডাক্তার যদি কোন রোগীর সাথে খারপ ব্যবহার করে, কোন ক্লিনিক যদি রোগীদের সেবা দেয়ার নামে নাজেহাল করে, রোগীকে আটকে রেখে বেশি টাকা আদায়ের চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের জরিমানা করতে পারি। প্রয়োজনে সেই সকল ক্লিনিক বন্ধ করে দিতে পারি।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা হাসপাতাল ও ক্লিনিক করুন, কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা যাতে সর্বস্বান্ত না হয়। রোগীর জন্য গলাকাটা চার্জ করবেন না।
স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। স্বাস্থ্য সেক্টরসহ সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নতি বিশ্বের নজরে পড়েছে। বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বিত ভূমিকার বিকল্প নাই।