স্টাফ রিপোর্টার ::
আবারো গুলি নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে আরপিননগর এলাকার মৃত মকসুদ আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম ফরহাদের বিরুদ্ধে। নদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গুলি নিক্ষেপ করে কিছুদিন আগেও তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগ। এবার শহরের তেঘরিয়া এলাকায় আফজল হোসেন নামের এক যুবকের পায়ে গুলি করেছেন ফরহাদ। এমনটিই অভিযোগ করেছেন গুলিবিদ্ধ আফজল হোসেনের স্বজন ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের তেঘরিয়া এলাকার আফজল হোসেন (২৫) নামের এক যুবকের পায়ে গুলি করে পালিয়ে যান ফরহাদ। গুলিবিদ্ধ আফজল হোসেনের পিতার নাম নিহার উদ্দিন। এ ঘটনার পরমুহূর্তেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তেঘরিয়াবাসী। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আফজলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কিছু সময় পরে শহরের সাহেব বাড়ি এলাকায় ফরহাদ অনুসারী ও তেঘরিয়া এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঐ সংঘর্ষে আবারো ফরহাদ গ্রুপ গুলি নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনা ছাড়া চলতি মাসের ২ তারিখে সুরমা নদীর সাহেব বাড়ি পয়েন্টে নৌকা থেকে চাঁদাবাজি করার সময় নৌ শ্রমিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পিস্তল দিয়ে গুলি চালান ফরহাদ। এ ঘটনায় ওইদিন সদর মডেল থানায় ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে কিছুদিন পালিয়ে থাকলেও আবারো শহরে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা যায় ফরহাদকে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার পূর্ব বিরোধের জেরে শহরের তেঘরিয়া এলাকায় গিয়ে আফজলকে লক্ষ করে গুলি নিক্ষেপ করে শফিকুল ইসলাম ফরহাদ। গুলিটি আফজলের বা পায়ের হাঁটুর নিচে লাগে।
তেঘরিয়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘দিন দিন ফরহাদ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সে এখন গুলি নিক্ষেপ করছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। সে শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তার ব্যাপারে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম ফরহাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘ কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে আমরা প্রশ্রয় দেই না। ফরহাদকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’