1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন : বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির হোতারা ভারতে!

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মূল হোতারা ভারতে রয়েছেন। এক বছরেরও বেশি সময়ের পরিকল্পনা শেষে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এর পেছনে মূল পরিকল্পনাকারী একাধিক ব্যক্তি। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি যায়। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন ডলার গ্রাহকের নাম ভুল করায় শ্রীলংকায় আটকে যায়, পরে তা ফেরত আনা হয়। বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপাইনের একটি বেসরকারি ব্যাংকে। সেখান থেকে ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় ওই অর্থ। এই অর্থ লোপাটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ কেলেঙ্কারি কোনো একজন ‘মূল পরিকল্পনাকারী’র কাজ নয়। এই কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছে। সূত্রটি বলেছে, ‘এতে সংশ্লিষ্টরা ভারতে রয়েছে এবং তারা সম্ভবত প্রক্সি (ইন্টারনেটে নিজের প্রকৃত অবস্থান গোপন করে ভার্চুয়াল অবস্থান দেখানোর পদ্ধতি) ব্যবহার করছে। সে কারণেই তাদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের কেউ কেউ ভারতের কেন্দ্রেই অবস্থান করছে। আর কয়েকজন রয়েছে বাইরে। কারিগরি দিক থেকে তারা এতোটাই শক্তিশালী যে তাদের সন্ধান পাওয়াই সম্ভব নয়।’
ওই সূত্রটি মেইল অনলাইনকে আরও জানায়, ‘এসব ব্যক্তি খুব সহজেই নিজেদের লুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ২/৩ মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে যেতে পারে।’ সূত্রটির দাবি, চুরি করা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে হোতাদের জীবনের নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, ‘সারাজীবন নিশ্চিন্তে পার করে দেয়ার জন্য দেড় কোটি ডলারই যথেষ্ট।’
উল্লেখ্য, রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে ফিলিপাইনে শনাক্ত করা গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া আবাদ জানিয়েছেন, কিম ওংয়ের কাছে থাকা দেড় কোটি ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে। আরও দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার রয়েছে ম্যানিলার ক্যাসিনো সোলেয়ারে এবং এক কোটি ৭০ লাখ ডলার রয়েছে রেমিট্যান্স কো¤পানি ফিলরেমের কাছে। আরও এক কোটি ২০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের ক্যাসিনো সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন জুলিয়া আবাদ। ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ অবশ্য ফিলিপাইনের ব্যাংকে পৌঁছানো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার উদ্ধারে দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা রেখেছেন।
তবে ম্যানিলার একজন বেসরকারি গোয়েন্দা অগাস্টাস এসমেরাল্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, এই ঘটনাকে ব্যাংকের হ্যাকিং হিসেবে দেখা উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা হ্যাকারদের নিযুক্ত করে অর্থ চুরির ঘটনার মতো। এর পেছনে রয়েছেন এমন ব্যক্তিরা, যারা ব্যাংক, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সিস্টেম ও ক্যাসিনো স¤পর্কে জানেন। আমার কাছে এটাকে মনে হয়েছে আধুনিক সময়ের ওশান’স ১১। একে বলা যেতে পারে ম্যানিলা ১২।’
উল্লেখ্য, ওশান’স ১১ একটি হলিউড সিনেমা যাতে লাস ভেগাসের একটি ক্যাসিনো থেকে অর্থ চুরি করে ১১ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। সূত্র: ডেইলি মেইল, রয়টার্স

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com