1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতা দূর করুন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬

“জামালগঞ্জে সরকারিভাবে ধানক্রয় শুরু” হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধানক্রয়ের এই কার্যক্রম গত ২৩ মে রোববার বিকেলে জামালগঞ্জ খাদ্যগুদামে উদ্বোধন করা হয়। বিলম্বে হলেও সরকার কর্তৃক ঘোষিত কৃষককল্যাণমুখি এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
এবার হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটার কার্যক্রম হাওরডুবির কারণে বলতে গেলে শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাও আবার দিনক্ষণের হিসেবে প্রায় মাসখানেক না হলেও ২০/২৫ দিন তো হবেই। সে অনুসারে অন্তত বিপন্ন কৃষকের অর্থকষ্ট কীছুটা হ্রাস করার মানসে সরকারি ধানক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়া উচিত ছিল সপ্তাহ তিনেক আগে। কিন্তু তা না হয়ে বাস্তবে সেটা জামালগঞ্জে যখন শুরু হলো ততক্ষণে অন্যান্য বছরের মতোই নিয়মমাফিক বৎসরান্তে জরুরি প্রয়োজনে ধানবিক্রির সময় বলতে গেলে শেষ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আপদকালীন প্রয়োজন মেটানোর চাপে পড়ে উৎপাদন খরচের কমদামে ধান বিক্রয় করে ফেলেছেন অধিকাংশ কৃষক, যে ধান সরকারি গুদামে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রয় করতে পারলে যৎসামান্য লাভের নিশ্চয়তা ছিল। প্রশ্ন হলো কৃষকবান্ধব সরকারের কৃষকহিতকারী ধানক্রয়ের কার্যক্রম কার স্বার্থে কিংবা কোন রহস্যজনক কারণে বিলম্বে শুরু হলো? যা হাওরডুবিতে ফসলহানির পর মরার উপর খাড়ার ঘা-এর মতো সরকারি দামে ধানবিক্রয়ের কল্যাণে যৎসামান্য স্বার্থলাভকে স্বার্থহানিতে পর্যবশিত করেছেন। এই প্রেক্ষিত বিবেচনায় কেউ যদি বলেন যে, প্রকারান্তরে প্রতিবছর সরকারি গুদামে কৃষকের ধানবিক্রিকে কেন্দ্র করে ফড়িয়া ব্যবসায় ফেঁদে কৃষকদের যেভাবে সর্বস্বান্ত করা হয়, এবার সরকারি গুদামে ধানক্রয়ের কার্যক্রমকে বিলম্বে শুরু করার ফাঁকে ফেলে সেই ব্যবসাটিই সম্পন্ন করা হয়েছে, তাহলে বোধ করি তাঁর উপর দোষারোপ করা সঙ্গত হবে না। অর্থাৎ কৃষকের স্বার্থহানির কোনও হেরফের হয়নি।
অবস্থা এমন যে, সরকার নির্ধারিত জনবান্ধব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের শিকার হয়ে পর্যদস্ত হয়ে উন্নয়নের সামগ্রিক গতিকে শ্লথ করে কিংবা রুদ্ধ করে দিচ্ছে। সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে এবংবিধ বিরোধিতা কিংবা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নির্বিঘেœ চলছে। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন, তখন প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে অর্থমন্ত্রীর বরাবরে “বিড়ির উপর কর না বাড়াতে ডিও লেটার” পেশ করেন কিংবা নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রাদুর্ভাব ঘটে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গণতন্ত্রায়ণের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করে পত্রিকায় লিখা হয়েছেÑ “বিড়ির উপর কর আরোপ না করে ডিও লেটার দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী নিজেই হতাশ হয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।” অপরদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলে বেড়াচ্ছেনÑ “দেশ এখন গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণে।”
দেশের মানুষ সরকারি কাজে কোনওরূপ অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা বিলম্বচর্চা চান না। তাঁরা চান দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণমুখি প্রতিটি কাজ তড়িৎগতিতে সম্পন্ন হোক এবং নির্ভুলভাবে। দেশোন্নতির কর্মসূটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারও পক্ষ থেকে কোনওরূপ অযৌক্তিক বিরোধিতা, বিলম্ব কিংবা অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম পরিচালনা কোনওক্রমেই কাম্য হতে পারে না। রাষ্ট্র-সরকারকে বৃহৎস্বার্থের সমর্থনে এইসব অপকর্মের অবশ্যই প্রতিবিধান করতে হবে, একটুও ছাড় দেওয়া চলবে না। উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতাকে প্রতিরোধ করতে এর কোনও বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com