স্টাফ রিপোর্টার ::
“সুনামগঞ্জের লোককবিরা বাংলাদেশের লোকসংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন। মরমি কবি এলাহী বক্স মুন্সী তাঁদের অন্যতম। তিনি শুধু গান রচনা করেননি, সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। তিনি গান লেখার পাশাপাশি তৎকালীন সমাজের কুসংস্কার দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। সামাজিক অন্ধকার দূর করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও তিনি অবদান রেখেছেন। এলাহী বক্স মুন্সী এ সমাজকে অনেক কিছু দিয়েছেন, প্রতিদানে কোনো কিছু চাননি। তাঁর লেখা গান ব্যাপকভাবে চর্চা করতে হবে। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করতে হবে। এছাড়া এই গানগুলো সংরক্ষণে ব্যবস্থা করতে হবে। এলাহী বক্স মুন্সীর আদর্শ এবং চেতনাকে অন্তরে ধারণ করে আমাদের প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।”
মরমি কবি এলাহী বক্স মুন্সীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
মরমি কবি এলাহী বক্স মুন্সী স্মরণে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, জেলা শাখা। মঙ্গলবার সকালে শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নারীনেত্রী শীলা রায়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিংহ।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে ও জেলা জাসদ সভাপতি আ ত ম সালেহ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ। বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. আকরাম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরমি কবি এলাহী বক্স মুন্সীকে মরণোত্তর সম্মানা প্রদান করা হয়। এলাহী বক্স মুন্সীর পরিবারের সদস্যগণ সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এলাহী বক্সের ভক্ত ও শিশু একাডেমীর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।