দিরাই প্রতিনিধি ::
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী থাকলেও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান শুধুমাত্র জগদল ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। বাকি ৭টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় নিজ দল আওয়ামী লীগ ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিরূপপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দিরাই শাল্লার সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অসুস্থতার ‘সুযোগে’ জেলা সভাপতি মতিউর রহমান জগদল ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পছন্দের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও ভাটিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শাহজাহান কাজীকে বাদ দিয়ে নিজ পছন্দের প্রার্থী জগদলে হুমায়ুন রশীদ লাভলু ও ভাটিপাড়ায় জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে অনেকটা নাটকীয়ভাবে দলীয় মনোনয়ন এনে দেন এবং ওই দুই প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাকি ৭ ইউনিয়নে তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় যাননি। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক প্রদীপ রায় বলেন, দিরাই-শাল্লা হচ্ছে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘাঁটি। আমাদের নেতার অসুস্থতার সুযোগে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে নাটক শুরু করেছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কথা থাকলেও শুধু মাত্র জগদল ও ভাটিপাড়ায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা নিঃসন্দেহে রহস্যজনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মতিউর রহমানের আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করছেন। তিনি নিজ এলাকায় না গিয়ে ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে কাজ করছেন – এটা কিসের আলামত?
দিরাই পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক মোশাররফ মিয়া বলেন, আমরা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে দিরাই শাল্লায় আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলেছি। দিরাইয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে মাতব্বরি করার সুযোগ নেই। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, তার ভাই-ভাতিজা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করছে। তিনি নিজেও ৯টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে শুধুমাত্র ২টি ইউনিয়নে আসা-যাওয়া করছেন। তিনি শুধু ২টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন বাকি ৭টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কিছুই বলেন না। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তার কূটকৌশলের রাজনীতি বুঝতে পেরেছে। দিরাই-শাল্লার আওয়ামী লীগ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তার এই বহিষ্কারের হুমকি-ধামকিতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।
এ ব্যাপারে জানতে জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।