1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

একটি নির্দিষ্ট মোবাইল থেকে একটি নির্দিষ্ট নম্বর ব্যবহার করে লটারি প্রাপ্তির সংবাদ প্রদান করা হলো। এমন প্রতারণার প্রচেষ্টা নির্বিঘেœ চলছে অহরহ। মাঝে মাঝে প্রতারক টাকা হাতিয়ে নিতেও সক্ষম হচ্ছে। গ্রামীণ ফোনের এক কর্তকর্তা স্বীকার করছেনÑ “কিছু প্রতারকচক্র এ কাজ করছে।” সাধারণ বিবেচনায় বিষয়টি একটি প্রতারণামূলক অপরাধ ভিন্ন অন্য কিছু নয়। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও কার্যকর করা জরুরি।
গণমাধ্যমে অর্থাৎ পত্রিকায় ছাপিয়ে বিশেষ নম্বরটি প্রকাশ করা হলো কিংবা হয়ে থাকে। যেমন গত রোববার দৈনিক সুনামকণ্ঠে এমন একটি সংবাদ প্রথম পৃষ্ঠায় আয়তাকারে (বক্স করে) ছাপা হয়েছে “১২ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ২৫০ টাকা লোড দেন” শিরোনামে। সংবাদ বিবরণী থেকে জানা যায়Ñ এর আগে শহরের উকিলপাড়া, ষোলঘর, ওয়েজখালি, নতুনপাড়া থেকে লটারি জেতার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র।” দেশজুড়ে এমন সাধারণ থেকে অসাধারণ অর্থাৎ ভয়ঙ্কর আন্তর্জালভিত্তিক (ইন্টারনেটভিত্তিক) প্রতারণা-অপরাধের সংবাদ বেরুয় সংবাদপত্রে। সম্প্রতি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচার এমনি ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা।
কিন্তু ঘটনা সংঘটনের পরে প্রতারক মোবাইল মালিকের বিরুদ্ধে কোনওরূপ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয় না, যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ প্রকারান্তরে মোবাইল ব্যবহার করার সম্পূর্ণ পদ্ধতিটির মধ্যে প্রতারণ সংঘটনের সুযোগ বহাল থেকে যায়, আর সমাজে সেটা চলতে থাকে। অন্যদিকে যে সমাজের চলিতকর্মের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমন বিভিন্ন মাত্রা ও রকমের প্রতারণা অর্থাৎ অন্যায়ভাবে বেআইনি পদ্ধতিতে সম্পদ আত্মসাতের উপায় বজায় থাকে, সে সমাজ কী করে উন্নত, সুস্থ ও ন্যায়ভিত্তিক হয়? প্রশ্ন থেকে যায়।
প্রতারণা করে পার পাওয়ার বিষয়টি রহিত করা না গেলে সমাজদেহ থেকে অপরাধ নামের বিষফোঁড়াকে কখনোই উৎপাটন করা সম্ভব হবে না। যে পদ্ধতির চর্চাই সমাজে প্রচলন করা হোক না কেন, সে চর্চাটিকে প্রচলনের আগে অবশ্যই অপরাধ সংগঠন কিংবা প্রতারণা প্রতিরোধী করে তারপর সমাজে প্রচলনের সুযোগ করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে পাল্লাবিহীন খোলারাখা দরজার ঘর বানিয়ে তাতে বসবাস করা আর প্রতারণা, হুমকি, হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার বিপদকে সঙ্গী করে আন্তর্জালসেবা (ইন্টারনেটসেবা) গ্রহণ করা সমার্থক। আন্তর্জালের মাধ্যমে মোবাইল যোগাযোগ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যেমন জীবনের জন্য একান্ত আবশ্যক তেমনি জীবনকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে এই মাধ্যমে প্রতারণা, আর্থিক আত্মসাৎ, চুরি কিংবা হুমকি প্রদানসহ দেশ-রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনও কর্ম পরিচালনাকে প্রতিরোধ ও প্রতিবিধানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অর্থাৎ চর্চিত ব্যবস্থা বা চলিতকর্মাকে হতে হবে সুনিশ্চিভাবে নিরাপদ। সে নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে না তোলে মোবাইল যোগাযোগ বা এই একই রকম অন্য ব্যবস্থাগুলি চালু রাখার মধ্যে নিহিত অনাকাক্সিক্ষত বিপদে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাটি মেনে নেওয়ার অর্থ হবে একটি অন্যায়কে জেনেশুনে প্রশ্রয় প্রদান এবং প্রকারান্তরে এখানে সেটাই হচ্ছে। রাষ্ট্র-সরকারকে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সে জন্য উচিত হবে অভিযুক্ত নির্দিষ্ট নম্বরটির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ। আর সেটা না করতে পারলে এই ব্যর্থতার জন্য নীরিহ নাগরিককে ভোগান্তির শিকার হতে হবে, অনন্তকাল জুড়ে। এমন হলে আবার সমাজব্যবস্থার শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে থাকবে প্রতিনিয়ত। সেটা হতে পারে না।
অভিজ্ঞমহলের ধারণা সাইবার অপরাধ নিরসকল্পে দেশে ইতোমধ্যে যে সরকরি সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে, সেটিকে আরও শক্তিশালী ও সক্ষম করে তোলা হোক। যাতে এইসব অপরাধ সহজে প্রতিরোধ ও দমন করা যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com