সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় তান্ডব চালিয়ে আরো উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। শনিবার পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। তবে এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ঘটে গেছে দুর্ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাতজন, সীতাকুন্ডে মা ও মেয়ে, আনোয়ারায় দুজন, ষোলশহরে এক শিশু, কক্সবাজারে তিনজন, ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূ ও স্কুলছাত্র, দৌলতখানে এক নারী, মনপুরায় নবজাতক, পটুয়াখালীর দশমিনায় এক বৃদ্ধা, লক্ষ্মীপুরে একজন, নোয়াখালীর হাতিয়ায় মা মেয়েসহ তিনজন, ফেনীর সোনাগাজীতে একজন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কায় নিহত হয়েছেন শতাধিক, বাস্তুহারা হয়েছেন দুই লাখের বেশি মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতদরের রোয়ানু সিরিজের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ডপলার রাডার ইকো ও আবহাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে এবং বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় এই বিশেষ বুলেটিন দেয় আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল তা নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টির প্রবণতা আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।