ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ও মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরিতোষ সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রবীর বিজয় তালুকদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরিতোষ সরকার দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে মধ্যনগর বাজারের আখড়ার সামনে থেকে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। মিছিলটি ওই বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। প্রার্থীদের জন্য এখনো প্রতীক বরাদ্দ না করার পরও ওই প্রার্থীর নামে ‘ঘোড়া’ প্রতীক বলে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা মিছিলে এই মার্কার কথাও উচ্চারণ করেছেন।
মধ্যনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিতোষ সরকার নিজে উপস্থিত থেকে মধ্যনগর বাজারে দুই শতাধিক লোক নিয়ে মিছিল করেছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিতোষ সরকার বলেন, আমি লোকজন নিয়ে মধ্যনগর বাজারে কোনো মিছিল করিনি। তবে আমার কিছু সংখ্যক কর্মী-সমর্থক মধ্যনগর বাজারের সামনের নদী দিয়ে নৌকা যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় আমার নাম নিয়ে তাঁরা মিছিল দিয়েছে। আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষের লোকজন এসব মনগড়া গল্প মানুষজনদের কাছে প্রচার করছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, মধ্যনগর ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে মুঠোফোনে আমার কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।