1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

সৌদি আরবে পুরুষ কর্মী পাঠানো শুরু

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অবশেষে বাংলাদেশি পুরুষ কর্মীদের জন্য আংশিকভাবে উন্মুক্ত হলো সৌদি আরবের শ্রমবাজার। নারী কর্মীর সঙ্গে গৃহশ্রমিক কোটায় পুরুষ কর্মী নেওয়া শুরু করেছে দেশটি। নারী কর্মীর মতো এসব পুরুষ গৃহকর্মীদেরও বিনা খরচেই নিচ্ছে সৌদি আরব।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র এ সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, এই কোটায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বুধবার সৌদি যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের মহসীন হোসেন মিয়া। রিক্রুটিং এজেন্সি পেন্টাগন ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে গৃহকর্মী (হাউজবয়) হিসেবে কাজ করবেন তিনি। এছাড়া আরও কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে পুরুষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
বৃহ¯পতিবার এ বিষয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরুষ কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে।
এক্ষেত্রে একজন সৌদি যাওয়া নারীদের আত্মীরাই অগ্রগণ্য। তবে দুইজন নারী ও তাদের দুইজন স্বজন পাঠানোর পরে একজন পুরুষ শ্রমিক পাঠানো যাচ্ছে (অনাত্মীয় হলেও) বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্সংস্থানের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। হাউজবয় হিসেবে মালি, ড্রাইভারসহ বিভিন্ন পদে কাজ করবেন পুরুষ কর্মীরা।
দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রাখার পর চলতি বছরের শুরুতে একজন নারী শ্রমিকের সঙ্গে একজন করে পুরুষ কর্মী নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়।
গত বছরের জুলাইয়ে নারী গৃহশ্রমিক পাঠানোর শর্ত হিসেবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সৌদি আরবকে পুরুষ কর্মী নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়। এ শর্তে সৌদি আরব রাজি হওয়ার পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, সৌদি আরবে ব্যাপক চাহিদার পরও নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ায়, নারী শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের স্বজন পাঠানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। সৌদি আরব এ প্রস্তাবে রাজি। এক্ষেত্রে নারীদের মতোই পুরুষদেরও কোনো অভিবাসন খরচ হবে না।
তিনি বলেন, কোনো নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য একজন নিকটাত্মীয়কে সঙ্গে রাখতে পারবেন। সৌদি আরবকে যদি দুই লাখ নারী শ্রমিক দিতে পারি, এর সঙ্গে দুই লাখ পুরুষ শ্রমিক নেবে দেশটি। তবে ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নারী শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থ হয় সরকার।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি দুইশোর বেশি নারী শ্রমিক পাঠাতে সক্ষম হয়েছে তাদেরকেই কেবল পুরুষ কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com