স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের চার উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ১৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। জামালগঞ্জে ৫, তাহিরপুরে ৪, ধর্মপাশায় ৪ এবং বিশ্বম্ভরপুরে ১জনসহ মোট ১৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী এসব প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং বিদ্রোহীদের বিপদে ফেলার প্রত্যয় নিয়ে অনেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত নানা হিসেব-নিকেশ করে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
জানা যায়, জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী, ফেনারবাঁক ইউনিয়নে বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী ইফতেকার চৌধুরী এবং একই ইউনিয়নে জামায়াত নেতা সিরাজুল হক ওলি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই উপজেলার ভিমখালি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান ও জাতীয় পার্টি নেতা আব্দুল মন্নান তালুকদার ও আসাদুল হক সিদ্দিকী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এ উপজেলার সাধারণ সদস্যপদে ১২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন চেয়ারম্যান পদে ২৮জন, সাধারণ সদস্যপদে ২১৯জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৫জন ভোটযুদ্ধে রয়ে গেছেন।
তাহিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাহমিদা পাঠান, ৫নং বাদাঘাট ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ মিয়া, ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির আলী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ধর আলী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের সাধারণ ইউপি সদস্যপদে ৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ২ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
ধর্মপাশায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সুখাইর রাজাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনীন্দ্র তালুকদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও তার পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তিনি এখনো মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন, চামরদানি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিল্টন তালুকদার, মধ্যনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ৯জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিল্লুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া পলাশ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন, একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী কামাল মিয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।