সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মাদাম তুসো জাদুঘর। ব্যাংককে বেড়াতে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এই জাদুঘরের আবেদন অন্যরকম। বিশ্ববরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন দেশের জাতির পিতা, রাষ্ট্রপ্রধান, বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে মিডিয়া ও খেলার জগতের জীবিত ও প্রয়াত তারকা ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য আছে এই জাদুঘরে। নির্মাণশৈলীর কারণে দেখতে প্রায় জীবন্ত এসব বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা মাদাম তুসোর জাদুঘরে ছুটে যান।
বিশ্ববরেণ্য অনেক ব্যক্তিত্বের ঠাঁই মাদাম তুসো জাদুঘরে হলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কিংবা পশ্চিমবঙ্গের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের মতো ব্যক্তিত্বদের ঠাঁই হয়নি সেই জাদুঘরে। এর ফলে বাঙালিদের ব্যাংককের মাদাম তুসো জাদুঘরে গিয়ে হতাশ হতে হয়।
তবে বাঙালিদের উপেক্ষার অবসান ঘটাতে এগিয়ে এসেছেন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। তিনি জানিয়েছেন, মাদাম তুসো জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূতাবাস। সেক্ষেত্রে ভাস্কর্য স্থাপনের প্রয়োজনীয় খরচও বহন করবে দূতাবাস।
সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, ব্যাংককের মাদাম তুসো জাদুঘর বাঙালিদের হতাশ করে এটা ঠিক। এটা আমরা অনুধাবন করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে পাঠাবো। কথাবার্তার মাধ্যমে দ্রুতই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বসানো হবে। এটা কঠিন কোন বিষয় নয়।