সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ভুয়া/জাল/অবৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে ‘বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’ (বিআরটিএ)। এ লাইসেন্সের সঠিকতা সহজে ও দ্রুত যাচাই করা সম্ভব। তবে আগের তুলনায় প্রতিটি লাইসেন্স তৈরিতে ব্যয় বাড়ছে ভ্যাট-আইটিসহ ১৭২ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হেসেন আমু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ৫টি ক্রয় প্রস্তাব এবং দুটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বিআরটিএর জন্য পার্সোনালাইজড ডুয়াল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট ড্রাইভিং লাইসেন্স (ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স) ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদে ১৫ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ‘টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড’। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদে সাড়ে ১১ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর চুক্তি করা হয়েছিল। তখন প্রতিটি লাইসেন্সের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৮ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় প্রতিটি লাইসেন্সের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯ টাকা ৯০ পয়সা। প্রথম চুক্তির আওতায় টাইগার আইটি গত এপ্রিল (২০১৬) পর্যন্ত ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪টি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেছে এবং প্রথম চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ডিজিটাল এ লাইসেন্স প্রদানের ফলে ভুয়া/জাল/অবৈধ লাইসেন্স ব্যবহারের প্রবণতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে লাইসেন্সধারীর বায়োমেট্রিকসহ অন্যান্য নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়াদি নকল করার সুযোগ নেই বলে মন্ত্রণালয় জানায়। পেশাদার চালকদের ক্ষেত্রে ৫ বছর এবং অপেশাদার চালকদের ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে এ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে।