সামাজিক এবং পারিবারিক অবকাঠামোর মধ্যে নারীর জীবন সাংসারিক কাজের সাথে অহর্নিশি আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। সমাজ পুরুষের জন্য ঘর হতে বাইরে সবখানে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখলেও নারীর ক্ষেত্রে রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করে। ফলে নারীর শারীরিক এবং মানষিক বিকাশের পথ বাধাগ্রস্ত হয়। এই পথকে প্রসারিত করার লক্ষে এবং নারীর বিনোদনের জন্য ইরা এলএইচডিপি প্রকল্প তার কর্মএলাকায় ‘আড্ডা’র নারীদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে বালিশ খেলার আয়োজন করে।
পারিবারিক কাজ এবং বৈশাখের কাজের ফাঁকে বিনোদনের জন্য বিপুল পরিমাণে নারী এবং কিশোরীরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করে। অক্সফামের অর্থায়নে এবং ইরার বাস্তবায়নে যা গত এপ্রিল জুড়ে চলতে থাকে।
গতকাল মঙ্গলবার উক্ত খোলার ৪৫জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা, ইইপি সিঁড়ি প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার আমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরা রুরাল ওয়াশ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দেবেশ চন্দ্র তালুকদার।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইরা এলএইচডিপি’র প্রকল্প সহায়ক আজমীরা শ্যামা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন, প্রত্যেক মানুষের জন্য শারীরিক এবং মানষিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প কিছু হতে পারে না। তাই তো সকলের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের জন্য এর ব্যবস্থা করা খুবই দরকার। প্রত্যেক এনজিও যদি এভাবে খেলার আয়োজন করে তবে সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে। এরকম আয়োজন করার জন্য ইরা এলএইচডিপি প্রকল্পকে অভিনন্দন জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি