স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সোলেমান মিয়ার বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন সদর উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল খয়ের।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সোলেমান মিয়া অনিয়মের মাধ্যমে সার্ভিসবুকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়াই চারজন শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লিপিবদ্ধ করেছেন। এক তালিকায় অভিযোগ দায়েরকারী শিক্ষকের নাম ছিল। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান মিয়া ওই শিক্ষকের কাছে উৎকোচ দাবি করলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে প্রধান শিক্ষক আবুল খয়ের-এর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সার্ভিসবুকে লিপিবদ্ধ করা হয়নি বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়।
অভিযোগের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা (সিলেট বিভাগ) ও জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জকে দেয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. আবুল খয়ের জানান, ২০১৪সালে তৎকালীন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নূরুল ইসলাম একটি অফিস আদেশে শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোর্সে ভর্তি ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করেন। যার স্মারক নম্বর ছিল জেপ্রাশিঅ/সুনাম/২০১৪/১৭৫৩(৮) এবং জেপ্রাশিঅ/সুনাম/২০১৪/৪৭(১৮)। এই স্মারক নম্বরগুলো ব্যবহার করে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অফিসের এক নথিতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া ওই আদেশকে ‘শিক্ষকরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন’ বলে চালিয়ে দিয়েছেন। সার্ভিসবুকে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে সোলেমান মিয়া টাকা চেয়েছিলেন। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছি, তাই আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোলেমান মিয়া বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনভাবেই সার্ভিসবুকে শিক্ষকদের নাম ও যোগ্যতার সার্টিফিকেট সংযুক্তি করা যায় না।’