সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সীমান্তে হত্যা ও যেকোনো ধরনের সহিংসতা ঘটলে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সোমবার সকাল পৌনে নয়টায় দুই দেশের মধ্যে ছয় দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা দু’দেশের সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এজন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। যদি সীমান্তে কোনো হত্যা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে দু’দেশ যৌথভাবে তা তদন্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ভারতীয় সরকারের অনুমোদনের পর কার্যকর হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যাকান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা বলেন, বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, সে কারণে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এ বিষয়ে আজিজ আহমেদ বলেন, মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট দেখছেন। রায় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবারের আলোচনায় ফেলানীর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এবারের সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, মাদক চোরাচালান বন্ধ, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার বন্ধ, নদীর তীর সংরক্ষণ ও দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর প্রধান রোববারের চুয়াডাঙ্গার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজিজ আহমেদ বলেন, এ ধরনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে দু’দেশের স¤পর্ক আরও জোরদার হবে।