সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ক্ষোভে বৈঠকে অংশ নিলেন না সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ অন্যান্যরা। তাই কোরাম সংকটের কারণে স্থগিত করা হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক।
কোরাম পূর্ণতার জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক কিন্তু বৃহ¯পতিবার সকাল ১১টায় কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও দুই জন সদস্য ছাড়া কেউ উপিস্থত হননি। তাই কমিটির সভাপতি উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বৈঠক মূলতবি করেন।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও এই কমিটি মাসে কমপক্ষে একটি বৈঠকও করে না। দশম জাতীয় সংসদ গঠনের পর এই কমিটির কমপক্ষে ৩০টি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ১২টি। বৃহ¯পতিবার ছিল এর ১৩তম বৈঠক। এ জন্য সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। কারণ সভাপতি বৈঠক আহ্বান করেন না।
এই কমিটির সভাপতি সিলেট ৪ আসনের এমপি ইমরান আহমেদ। অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), শরীফ আহমদে (ময়মনসিংহ-২), শেখ আফাল উদ্দিন (যশোর-১), কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬)ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া।
বৃহ¯পতিবার সকাল ১১টার সময় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কমিটির সভাপতি ও অন্য সদস্য হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া ছাড়া কেউ উপস্থিত হননি।
এ বিষয়ে কথা হয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি’র সঙ্গে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, সাত মাস পর এই মিটিং হচ্ছে। এখানে মিটিং করে যেসব সিদ্ধান্ত হয় তা কখনও বাস্তবায়ন হয় না। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি মিটিংয়ে উপস্থিত হই না। হয়তো অন্যান্য সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। মিটিং যদি ফলপ্রসূ না হয় তাহলে সেখানে গিয়ে লাভ কি? তাই এই কমিটিতে কোরাম সংকট সব সময়ই হয়।
বিষয়টি জানতে চাইলে বৈঠক উপস্থিত সংরক্ষিত আসনের এমপি হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘এসব কি আমার বলার কথা? আপনি সংসদের সাংবাদিকদের কাছে শুনেন। আমি তো আপনাকে সময় দেব না। আমাদের রাষ্ট্রীয় অনেক কাজ আছে!’ এই বলে তিনি মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই কমিটির সভাপতি তিনি তার পিএস এর উপর নির্ভরশীল। আর পিএস সারাদিন বিটিসিএল আর টেলিটকের অফিসে বসে তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় না। এজন্য কেউ যায় না। আর বৈঠকে এসব নিয়ে জবাবদিহি করতে হয় বলে বৈঠকও ডাকা হয় না।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।