স্টাফ রিপোর্টার::
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংকট মোকাবেলায় নার্স, পরিবর্তনে এক সহায়ক শক্তি’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে পালিত হয়েছে বিশ্ব নার্স দিবস। এ উপলক্ষে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল হাকিম।
র্যালি পরবর্তী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রুমে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় কেক কাটেন অতিথিবৃন্দ। পরে শুরু হয় আলোচনা সভা।
এতে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডিপিএইচএন ড. জাহান আরা বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল হাকিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গৌতম রায়, আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাফ্ফর হোসেন, সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিৎ দে ও ডা. সালেহ আহমদ আলমগীর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেবিকা স্বপ্না দে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, মহিয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল-এর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের সেবায় নার্সদের এগিয়ে আসতে হবে। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল-এর চেতনা ধারণ ও লালন করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সমাজে নার্সিং পেশাকে মানুষের কাছে একটি আদর্শ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নার্সিং পেশা একটি কঠিন ও ¯পর্শকাতর পেশা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়। এ কারণে খুবই সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক সময় নার্সিং পেশা অবহেলিত থাকলেও বর্তমানে এই পেশার গুরুত্ব অনেক। সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে নার্সদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম।
এসময় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সামিউল হক, ডা. মালেকা বাহার লাইলীসহ অন্যান্য সেবিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালীর ফ্লোরেন্স নামক শহরে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল জন্মগ্রহণ করেন ও ১৯১০ সালের ১ আগস্ট ৯০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারো সুনামগঞ্জে যথাযথ মর্যাদার সহিত দিবসটি পালিত হয়েছে।