স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগকে ব্র্যান্ডিং করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর মধ্যে ৮টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হচ্ছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রম, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, সবার জন্য বিদ্যুৎ ও কমিউনিটি ক্লিনিক-শিশু বিকাশ। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগের কথা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা তথ্য অফিস ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার সকালে শহরের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের জনগণের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে। দেশ এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে। সরকারের উন্নয়নকর্মকান্ড দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ‘একটি বাড়ি-একটি খামার’ এখন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা দিয়ে নাগরিকদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অন্যান্য দেশের সাথে আমরা অনেকটাই সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আমাদের সরকার নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে আরো গতিশীল করতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, বিআরডিবি’র উপ-পরিচালক শামছুল ইসলাম, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ফৌজিআরা শাম্মী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক মোল্লা।
সভায় বক্তারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগকে ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।