সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্ত্রী-সন্তানসহ ১০ স্বজন। তারা হলেন- নিজামীর স্ত্রী ও জামায়াতের মহিলা বিভাগের প্রধান বেগম সামসুন্নাহার নিজামী, ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও নাইমুর রহমান, মেয়ে খাদিজা মোহসীনা, পুত্রবধূ সালেহা ও রাইয়ান, জামাতা রওশন আলী ও নাতি ঈমন এবং দুই ভাগিনা শাহাদাৎ হোসেন, বাকীবিল্লাহ।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি নিজামীর স্বজনরা। এ সময় তারা অশ্রুসজল ও বিরস বদনে ছিলেন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ যান তারা। সকাল ১১টা ২৫মিনিটে তাদের কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, বেলা সোয়া ১১টার নিজামীর ছয় স্বজন কারাগারে পৌঁছান। বেলা ১১টা ২৫মিনিটে তাদের কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়। কারাগারের একটি কক্ষে তারা নিজামীর সাথে কথা বলেন। সাক্ষাতের সময় স্বজনরা কি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তা জানা যায়নি। তারা বেলা ১২টা ১০ মিনিটে কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
গত মার্চ থেকে এ কারাগারের ফাঁসির সেলে বন্দি আছেন নিজামী। মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর দিন স্বজনরা নিজামীর সঙ্গে দেখা করলেন। তার সামনে এখন প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ অবশিষ্ট আছে। তিনি প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যাত হলে তার ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।
বৃহ¯পতিবার রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার কথা রেডিওর মাধ্যমে শোনেন নিজামী। এরপর তাকে কিছুটা ‘চিন্তিত ও বিচলিত’ দেখা গেছে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করেছেন।
নিজামী প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ, বলেন, রায়ের চূড়ান্ত কপি কারাগারে এলে তার মতামত জানতে চাওয়া হবে।
এদিকে নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের ব্যাপারে শুক্রবার রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কবে নাগাদ ফাঁসি হবে, এটা আমি তো বলতে পারব না। সব আইনি প্রক্রিয়া স¤পন্ন হওয়ার পর নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা অতীতে যে রকমভাবে করেছি, এবারও ঠিক সেই ভাবেই হবে। কোনো আইন কিংবা কোনো কার্যাদি অস¤পূর্ণ রেখে আমরা কিছু করব না। এটাই হলো মূল কথা।