মাহমুদুর রহমান তারেক ::
দলীয় কোন্দলের কারণে আ.লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যানরা। কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব চেয়ারম্যানদের নাম তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা নেতাদের কারো তালিকায়ই থাকছে না। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অনেকেই আবার নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় তৃণমূল ও জেলার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান ৬ বর্তমান চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অনেকটা বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন করেন তাঁরা। এর মধ্যে তিন জন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁরা হলেন লক্ষ্মীপুরে আমিরুল ইসলাম, নরসিংপুরে একেএম আয়ুবুর রহমানী, বাংলাবাজারে জসিম উদ্দিন রানা। এছাড়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জেও একজন মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আগামী ২৮মে জগন্নাথপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন পাটলি ইউনিয়নে সিরাজুল হক ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নে মজলুল হক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তারা দু’জনই বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচন করায় বিপাকে পড়েছেন আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা। এছাড়া এই উপজেলায় অর্ধডজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দলীয় কোন্দলের কারণে দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন। তাঁরাও নির্বাচন করার জন্য মাঠে আছেন।
এদিকে ধর্মপাশা উপজেলার কয়েকজন বর্তমান চেয়ারম্যান দলীয় রেষারেষির কারণে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন আহমদ আহমেদ। তাঁর নাম তৃণমূলের দেয়া তালিকায় জায়গা হয়নি। কেন্দ্রের কাছে জমা দেয়া তালিকায় তাঁর নাম আসেনি। উপজেলার আরেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান চামারদানি ইউনিয়নের প্রভাকর চৌধুরী পান্না। তিনি দলীয় কোন্দলের বলি হয়েছেন। কোন তালিকায়ই তাঁর নাম নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া সদরে ফখরুল হাসান চৌধুরীর নাম তৃণমূলের তালিকায় ছিল না। পরে তাঁর নাম জেলা নেতৃবৃন্দ যোগ করে কেন্দ্রে জমা দেন। এছাড়া জামালগঞ্জ সদরে ফয়জুল আলম মোহনও তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, আমি জনপ্রিয় সকল চেয়ারম্যানের নাম বলেছি। এখন কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে।
জেলা আ.লীগের সভাপতি মতিউর রহমান জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে উঠে আসা নাম আমরা কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। কেন্দ্র মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।