তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
“গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি, আপনি ১০জন ভাগ্যবানের একজন! আপনার নাম্বারে লটারি লেগেছে। স্যার আপনি লটারিতে গাড়ি জিতেছেন। এখনই এই নাম্বারে ৫’শ টাকা বিকাশ করেন। একথা কাউকে বলবেন না। বললে অন্য কেউ এসে আপনার পুরস্কার নিয়ে যাবে।”
বুধবার বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া আদর্শ গ্রামের দিনমজুর কিবরিয়া (১৮)’র মোবাইল ফোনে ০১৭০৪৪৪৮২৬১ নাম্বার থেকে ফোন করে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলা হয়।
কথাগুলো বিশ্বাস করে গ্রামের সরল-সহজ কিবরিয়া ওই নাম্বারে ৫’শ টাকা বিকাশ করেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর মোবাইলে আবারও ফোন আসে। কিবরিয়ার কাছ থেকে তাঁর পুরো ঠিকানা নেয়া হয়। এরপর তাকে বলা হয় আপনি কি গাড়ি নিবেন, না-কি নগদ টাকা? জবাবে কিবরিয়া বলে টাকা হলেইতো ভালো হয়। তখন অপর প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয় তাহলে এক কাজ করুন আপনি আরও ১৬ হাজার ৫শত টাকা বিকাশ করুন। আমরা আগামীকাল সকালে আপনার বাড়িতে ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আসবো। তবে বিকাশ এজেন্টকে কোন টাকা দিতে হবে না, কারণ এজেন্ট থেকে কোন টাকা আসবেনা শুধুমাত্র মেসেজটি আসবে।
টাকার লোভ সামলাতে না পেরে দিনমজুর কিবরিয়া পার্শ্ববর্তী বাদাঘাট বাজারে এসে জননী টেলিকমে গিয়ে উক্ত নাম্বারে ১৬ হাজার ৫শ টাকা বিকাশ করতে বলেন। জননী টেলিকমের জুয়েল ওই নাম্বারে টাকা বিকাশ করে কিবরিয়ার কাছে টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ সময় কিবরিয়া বলেন, ওখান থেকে ফোন না আসলে সে টাকা দিবো না। এরকম করে কিছু সময় পার হয়ে গেলেও ফোন না আসায় কিবরিয়ার নাম্বার থেকে ওই নাম্বারে ফোন করা হয়। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তখন কিবরিয়া বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এক পর্যায়ে দোকানি কিবরিয়াকে টাকা দিতে বললে তাঁর কাছে টাকা নেই বলে চলে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানি তাঁকে আটক করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির উদ্দিন এসে টাকা দেয়ার অঙ্গীকার করে কিবরিয়াকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।