তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে দশটি বাড়িঘর ভাঙচুরসহ একটি রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রোববার সকালে উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ইউনুছপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, রোববার সকালে শামীম মিয়া (২৫) ইউনুছপুর গ্রামের একটি দোকানে চা পান করতে গেলে একই গ্রামের ফারুক মিয়া সহ কয়েকজন মিলে শামীমকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে সাজিদ মিয়া ও হারুন মিয়া পক্ষের দেড়শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সাজিদ মিয়া পক্ষের শামীম মিয়া (২৫), জুলেখা বেগম (৩৫), মানিক মিয়া (৩০), সুন্দর আলী (৯), জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), মোক্তার হোসেন (৩২), সুজন মিয়া (১৭), শাহিনুর মিয়া (১৮)সহ আরও ৫জন এবং হারুন পক্ষের বাদশা মিয়া (২২), মাবিয়া বেগম (৪০), ফারুক মিয়া (২৪), মুর্শিদ মিয়া (৬০), জাহের মিয়া (২৮)সহ আরো ৮জন এবং ঝগড়া থামাতে গিয়ে আরও তিন জনসহ মোট ৩০জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে সাজিদ পক্ষের শামীম মিয়া, জুলেখা বেগম, জাহাঙ্গীর মিয়া, মোক্তার হোসেন, আলমতি বেগম, সানোয়ারা বেগমকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং মানিক মিয়া, সুন্দর আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হারুন মিয়া পক্ষের মাবিয়া বেগম, মুর্শিদ মিয়া, আফিল উদ্দিনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাদশা মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. হানিফের নেতৃত্বে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই একেএম জালাল উদ্দিন, এসআই মুহিত মিয়া এসআই মো. আমির উদ্দিনসহ পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে সোমবার শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে ৪৩ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ জানিয়েছেন, উভয় গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করা ও পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এবং থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে।