বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন আ.লীগের শীর্ষ নেতারা। ‘স্থানীয় এমপি, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য ও নিজস্ব বলয়ের প্রার্থী’ এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনেকটাই বিপাকে আছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই আসনের দলের দু’টি বলয় ২৩টি ইউনিয়নে নিজেদের পক্ষের প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়ন বাগিয়ে আনতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ঢাকায় দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর) ২৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলায় ১০টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৬টি, তারিহপুর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই ২৩টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই চলছে বিরোধ। তিনটি উপজেলার ৪টি সাংগঠনিক কমিটিতে আ.লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের সমর্থনে রয়েছেন স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। অন্যপক্ষে রয়েছেন এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরোধীরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও দুই ভাগে বিভক্ত।
জামালগঞ্জ উপজেলায় জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, ধর্মপাশা উপজেলায় শামীম আহমদ বিলকিস, তাহিরপুর উপজেলায় আবুল হোসেন খাঁন এমপি বলয়ের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই তিন নেতাই তিন উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁদের বলয়ের নেতাদের মনোনয়ন বাগিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সাংসদ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনও প্রতিটি ইউনিয়নেই নিজ বলয়ের প্রার্থী যাতে মনোনয়ন পান সে চেষ্টা করছেন।
দুই বলয় দুই তালিকা নিয়ে কেন্দ্র ও জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেন-দরবার করছেন। দুই বলয়ের প্রার্থীরা নিজ নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
দুই বলয়ের আলাদা তালিকার কারণে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ‘স্থানীয় এমপি, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য ও নিজস্ব বলয়ের প্রার্থী’ এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলা আ.লীগের নেতারা। তবে তাঁরা যোগ্য, দলের নিবেদিত, তৃণমূলের ভোটে উঠে আসা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে চেষ্টা করছেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ঢাকায় জেলা আ.লীগের দুই নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অবশ্য কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন জানিয়েছেন, যোগ্য, দলের নিবেদিত, তৃণমূলের ভোটে উঠে আসা প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন। আর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।