1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শামসুদ্দিন চৌধুরীর লেখা রায় গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
অবসরের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা ১৬১টি রায় ও আদেশের একটিও গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। স্বাক্ষর বিতর্কের কারণে বিচারপতি মানিকের অধীনে থাকা এই ১৬১টি মামলা পুনঃশুনানি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পুনঃশুনানি হবে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের অধীনে থাকা ছয়টি মামলাও।
আগামী সোমবার (২ মে) থেকে পৃথক বেঞ্চে মামলাগুলোর পুনঃশুনানি হবে বলে বৃহ¯পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এই দুই বিচারপতির বেশ কয়েকটি মামলা পুনরায় শুনানি করা হবে। তবে কতগুলো মামলা শুনানি করা হবে এ বিষয়ে এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে এ মামলাগুলো আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রেখে শুনানি করা হবে।’
জানা গেছে, স্বাক্ষর বিতর্ক ও অ¯পষ্টতার কারণেই বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর লেখা ১৬১টি রায় ও আদেশের একটিও গ্রহণ করেননি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তবে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই এমন সিদ্ধান্ত।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জানিয়ে দেন, অবসরের পর বিচারপতিদের তিনি আর রায় লিখতে দেবেন না। আর তাই সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হকের রায় না লিখে ফেরত দেয়া ছয়টি মামলাও আবার আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তিতে জানান, অবসর গ্রহণের পর রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থি। এরপর শুরু হয় বিতর্ক। সবচেয়ে আলোচনায় আসে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর সাথে রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বন্দ্ব।
এরপর তীব্র সমালোচনায় ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি শামুসুদ্দিন চৌধুরী ৬৫টি রায় ও নথি জমা দেন। ওইদিন তিনি দাবি করেন, আর কোনো রায় তার হাতে নেই।
এদিকে বৃহ¯পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় জানায়, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী যেসব রায় লিখে জমা দিয়েছিলেন তার অনেককিছুই অ¯পষ্ট। সেই সঙ্গে শামসুদ্দিন চৌধুরীর যেসব বেঞ্চে অপর বিচারপতিরা ছিলেন, তারাও ওইসব রায়ে স্বাক্ষর করেননি। আর সে কারণেই এসব মামলা পুনরায় শুনানির জন্য দিন ধার্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে মোজাম্মেল হোসেন বিদায় নিয়েছেন ২০১৫ সালে। এরপর আপিল বিভাগের বিচারপতির পদ থেকে বিদায় নেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com